নারদ বার্তা পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুরঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাতিজার হাতে আহত চাচা তারেক আলী (৬৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাগেছেন। সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এঘটনায় ছেলে মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ভাতিজা শাহ অলম তার ভাই ময়নাল হোসেনসহ হাবিবুর,হামিদুল,রাজু, আব্দুর রহমান ও ঝর্না বেগমকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছেন। উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের পিপলা গ্রামে গত ৩০ জানুয়ারী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত হওয়ার পর থেকে তারেক আলী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
থানা ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সুত্রে জানাগেছে, বাড়ির সীমানা নিয়ে ভাতিজা শাহ আলমের সাথে নিহত তারেক আলীর বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন প্রতিপক্ষ শাহ আলম তার লোকজন নিয়ে তারেক আলীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এসময় তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। বাধা দিতে গিয়ে তারেক আলী সহতাঁর স্ত্রী মালেকা বেগম, ছেলে মাসুদ রানা,মাসুদের ছেলে আলিম ও স্ত্রী আলুফা আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তারেক আলীকে প্রথমে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে
অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তারেক আলীকে। এঘটনায় ছেলে মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছিলেন।
এদিকে সোমবার নিহতের লাশ বাড়িতে এলে শোক ও কান্নার রোল পড়ে যায় পরিবার জুড়ে। নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী মনিরুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারনে তাঁর বাবাকে হত্যার জন্য তাঁদের বাড়িতে এসে হামলা চালানো হয়েছিল। বাবার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও আসামীদের শাস্তি দাবী করেন তিনি।
ঘটনার পর থেকে মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য (৪নম্বর ওয়ার্ড) মো. আব্দুস সামাদ জানান,- রাগ-ক্ষোভের বসে আসামীরা তারেক আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে আপোসের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন গ্রামের মানুষ। এখন হত্যা মামলা হওয়ায় আপোসের সুযোগ আর নেই। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্তরা।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম সত্যা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যা চেষ্টা মামলার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
