বিশেষ প্রতিবেদকঃ
নাটোরের নলডাঙ্গায় অস্থির পেঁয়াজের বাজার। এক সপ্তাহ আগে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ গত শনিবার বিক্রি হয়েছে গড়ে ৪০ টাকা কেজি দরে। আজ মঙ্গলবার সকালে এই মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে গড় ৫০ টাকায়। ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।
প্রতি শনি ও মঙ্গলবার সকালে নলডাঙ্গা হাট এর একটি বড় অংশ জুড়ে বসে এই পেঁয়াজের হাট। এখান থেকে পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। প্রতি হাটে গড়ে ২০ ট্রাক পেঁয়াজ এখান থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয়। গত কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে এই আমদানি কমে ৫ থেকে ৭ ট্রাকে এসে দাঁড়িয়েছিল। এক সপ্তাহ আগেও ভরা মৌসুমে এখানকার পেঁয়াজের বাজার ছিল চড়া। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবর শুনেই হঠাৎ করেই বাজারে ধ্বস নেমেছিল। পেঁয়াজের বাজারে দরপতনের কারণে আজকে বেশিরভাগ কৃষক বাজারে পেঁয়াজ তোলেনি। যার প্রভাব পড়েছে আজকের বাজারে।
কৃষকরা বলছে তাদের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এই বাজার স্বাভাবিক। এবারে পেঁয়াজ বীজ কিনতে হয়েছে চড়ামূল্যে সে দিক থেকে স্যার শেষ কীটনাশক বিষ মিলে তাদের উৎপাদন খরচ বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পড়েছে। অপরদিকে এক বিঘা জমিতে ৬০ থেকে ৭০ মণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। এর চেয়ে দাম কমে গেলে আবারো তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
অপরদিকে ভোক্তারা বলছেন, পেঁয়াজের মূল্য কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে থাকলে সকল শ্রেণীর ভোক্তাই উপকৃত হবে।
আড়তদারের মতে, পেঁয়াজের বাজারে এই অস্থিরতা ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। আর ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকলে এইরকম পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়না ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের।
এবার নাটোর জেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু কৃষি বিভাগ বলছে এই উৎপাদন ৬ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে। এতে ৬০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ
থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের এখন উপযুক্ত সময়। তা না হলে আবারো পেঁয়াজের
ঝাঁজে নাকাল হবে গোটা দেশবাসী।