নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের নলডাঙ্গার পিপরুলের আঁচড়াখালী গ্রাম থেকে একটি কালিম পাখি উদ্ধার করেছে,বিবিসিএফ সদস্য সংগঠন সবুজ বাংলার সদস্যরা।
বিবিসিএফ এর দপ্তর ও সবুজ বাংলার সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বী বলেন,অসুস্থাবস্থায় পাখিটিকে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন,নাটোরের নলডাঙ্গার পিপরুল ইউ,পির আঁচড়াখালী গ্রামের আক্কাছ কাজী (৬৫) এরপর স্থানীয় তরুন ফিরোজ, নিতাই, একলাস, বিশাল, জিহাদদের সহযোগীতায় পাখিটিকে দেখে শুনে রাখেন তিনি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সবুজ বাংলা সদস্যদের সহযোগীতায় পাখিটিকে নলডাঙ্গা থানায় আনা হয়।
সেখানে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট মোঃ মানুনুর রশিদ কাছে পাখিটা হস্তাস্তর করা হয়।
পাখি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, বিবিসিএফ এর দপ্তর ও সবুজ বাংলার সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বী, সবুজ বাংলার সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম,অর্থ সম্পাদক সোহাগ হোসেনসহ প্রমূখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৭১৮ প্রজাতির পাখি, ১৫৭ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৪২ প্রজাতির উভচরসহ সর্বমোট ১০৪২ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। কিন্তু জনসাধারণেরর অজ্ঞতা, অসচেতনতা, অদূরদর্শীতার কর্মকান্ডের ফলে বন্যপ্রাণী ও এদের আবাসস্থল হুমকির মুখে। ইতিমধ্যেই আমাদের দেশ থেকে ১৪ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং অসংখ্য বন্যপ্রাণী আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকার বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ পাস করেছে। এ আইনে -পাখি শিকার, হত্যা, আটক ও ক্রয় বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ যার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছর কারাদন্ড এবং ২ লক্ষ টাকা জরিমানা। বন্যপ্রাণী আটক, হত্যা, আটক ও ক্রয় বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছর কারাদন্ড এবং ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।