পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হলে সেতুর সুবিধা যেন সকলে পান সেই দিক বিবেচনায় রেখে সেতুর সঙ্গে বিদ্যমান সড়কে নতুন করে সংযোজিত হয়েছে শরিয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা সড়ক প্রকল্প (পদ্মা ব্রিজ অ্যাপ্রোচ)। এ প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ৬৮২ কোটি ৫৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া এ প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এছাড়া প্রকল্পের সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে।
‘শরিয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মা ব্রিজ অ্যাপ্রোচ) সড়ক উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠেয় একনেক সভায় তোলা হয়। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনএসি সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় উল্লেখ আছে, বর্তমানে শরিয়তপুর জেলার বাসিন্দাদের কাওড়াকান্দি (কাঁঠালবাড়ি) ফেরিঘাট হয়ে ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। বর্তমানে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতাধীন জাজিরা প্রান্তে একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।এই সংযোগ সড়কের সঙ্গে শরিয়তপুরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে হলে জাজিরা থেকে নাওডোবা পর্যন্ত নতুন করে দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করতে হবে। মূলত নতুন এই সড়ক নির্মাণের জন্যই এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় আরো উল্লেখ করে বলা হয়, বর্তমানে শরিয়তপুর-জাজিরা-কাওড়াকান্দি জেলা সড়কের মাধ্যমে ওই এলাকার মানুষ চলাচল করে। প্রায় ২৯ কিলোমিটারের ওই সড়কটির প্রস্থ কোথাও ৩ দশমিক ৩ মিটার আবার কোথাও ৫ দশমিক ৫ মিটার। নতুন এই প্রকল্পটির মাধ্যমে পুরো সড়কটি ৭ দশমিক ৩ মিটারে উন্নীত করা হবে।