বিদায়ী অর্থবছরে ৭ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলারের আসবাব রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এ অঙ্ক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গত অর্থবছর আসবাব রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ কোটি ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে আসবাবপত্র রপ্তানি হয়েছিল ৬ কোটি ৩১ লাখ ডলারের।
আসবাবপত্র শিল্প ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুণ-মানসম্পন্ন ও আধুনিক নকশায় হওয়ায় বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশি আসবাবের চাহিদা বেড়েছে। এতে গত এক দশকে অনেকদূর এগিয়েছে বাংলাদেশের আসবাবপত্র শিল্প।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশে তৈরি আসবাব রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, রাশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি আয় ৪৮ লাখ ডলার বেশি হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আসবাবপত্র রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি কে এম আক্তারুজ্জামান বলেন, রপ্তানির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেও সক্ষম হচ্ছে দেশি আসবাব। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য গুণগত মান উন্নয়ন ও নকশায় প্রতিনিয়ত নতুনত্ব আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, দেশের আসবাব শিল্পকে স্থায়ী রপ্তানি পণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।