আরিফুল রুবেল
আজ পহেলা ফাগুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। কবি বলেছেন, ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। ‘ তবে এবারও ফুটেছে ফুল, প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন।
শীতের খোলসে ঢুকে থাকা কৃষ্ণচূড়া, রাধাাঁচূড়াঁ, ডালিয়া এখন অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে। লাল, হলুদ আর বাসন্তি রঙে প্রকৃতির সাথে নিজেদের সাজিয়ে আজ বসন্তের উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় ভাসছে বাঙালি। প্রকৃতি যেন অকৃপণ হাতে ঢেলে দিয়েছে রঙের বাহার।
শিমুল, পলাশ আর কৃষচূড়ায় আগুন রঙের খেলা। সুরের মূর্ছনায়, নাচে -গানে ঋতুরাজের বন্দনায় শিল্পীরা। রং ছড়িয়ে বসন্ত বিরাজ করে সবার মনে। তাই চারদিকে প্রাণের স্পন্দন, সাজ সাজ রব। বাসন্তী রঙে নিজেকে রাঙিয়ে একে অপরের হাত ধরে হাটা। সকল কুসংস্কার পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুনের আশায় সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়েই ঋতুরাজের উপস্থিতি।
বসন্ত অনেক ফুলের বাহারে সজ্জিত হলেও গাঁদা ফুলের রঙকেই এদিন তাদের পোশাকে ধারন করে তরুন-তরুণীরা। সঙ্গে খোঁপায় ফুলের মালা শোভা বাড়ায় বহুগুণ। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যায় না গ্রাম্যজীবনও। আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠাপুলির মৌ মৌ গন্ধে গ্রামে বসন্তের আমেজ একটু যেন বেশিই। আর এভাবেই ধরায় নেমে আসে ঋতুরাজ বসন্ত।
লেখকঃ শিক্ষক ও সাংবাদিক