নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুরঃ
নাটোরের লালপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকায় চাচা ও ভাতিজি-জামাইয়ের নাম এক হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছে জমির দখল নিয়ে । এ ঘটনায় দুইজন নিহত হলেও এখনো দখল পায়নি ভুমির প্রকৃত মালিকরা।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী সুত্র জানায়, উত্তর বাঁশবাড়িয়া মৌজায় জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের পর স্থানীয়দের মধ্যে মন্ডল ও প্রামানিক বংশের উত্তরাধিকারীরা জমিদারী সম্পত্তি পত্তন পেয়ে খাজনাদী পরিশোধ করে নিজ নিজ জমি ভোগ দখল করতে থাকে। এরমধ্যে কেরু প্রামানিকের ছেলে জহির প্রাং ও আয়েন প্রাং পিতার সম্পত্তি এজমালিতে ভোগদখল করতে থাকে।
অপরদিকে ,মঙ্গল মন্ডলের ছেলে আয়েন উদ্দীন মন্ডল ও জয়েন উদ্দীন মন্ডল। এরমধ্যে আয়েন উদ্দীন মন্ডল জহির প্রামানিকের মেয়ে মরিয়ম বিবিকে বিয়ে করে শ্বশুড় বাড়িতেই বসবাস করতে থাকে।
জহির প্রামানিকের নাতি এজাহার প্রাং দাবী করেন, আয়েন প্রামানিকের মৃত্যুর পর তার জমি আয়েন উদ্দীন মন্ডল দখল করে। এনিয়ে উভয়পক্ষে সংঘর্ষে প্রায় ১০ বছর আগে তার ভাই ইস্তাব আলী প্রাংকে হত্যা করা হয়। এরপর প্রায় ৫ বছর আগে আরেকটি সংঘর্ষে তার ভাতিজা রবিউল প্রাং কেও হত্যা করা হলেও আজ পর্যন্ত তারা ফিরে পাননি তাদের জমির দখল।
এব্যাপারে আয়েন উদ্দীন মন্ডলের ছেলে জাহিদ জানান,এই সম্পত্তি আমার বাবার নামে আছে বিধায় আমরা ভোগদখল করছি। আমরা জবর দখনল করি নাই।
স্থানীয় গ্রাম প্রধান ,আমিরুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,তারা একাধিকবার বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছেন।
স্থানীয় চংধুপইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ,আবু আল বেলাল জানান, এর আগেও বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নিয়ে আমরা বিচার করে দিয়ে চলে আসি । আমাদের বিচার বা মিমাংসার ফল সফল হয়নি। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে আবার বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নেবেন তিনি।
এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, যেহেতু এঘটনায় মামলা রয়েছে তাই স্বল্প সময়ের মধ্যে উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি আইনগত ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন তিনি।