হলফনামায় তথ্য গোপনের জন্য বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিলে ইসিতে নালিশ জানানোর পর এবার আদালতে গেলেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
রোববার হাই কোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন তিনি। সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হতে পারে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথের সম্পদের তথ্য গোপনের খবর সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এলে তার প্রার্থিতা বাতিলে গত বৃহস্পতিবার ইসিতে আবেদন জমা দেন বিচারপতি মানিক।
‘সুনির্দিষ্ট’ অভিযোগ দেওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন বলে জানান বিচারপতি মানিক।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিঙ্গাপুরে তাবিথ আউয়ালের যে ব্যবসায়িক কোম্পানি আছে, সে কোম্পানির তথ্য তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেনি। ফলে সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সে আর প্রার্থী থাকতে পারে না। রিটে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।”
বিচারপতি মানিক এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সিঙ্গাপুরের কোম্পানি এনএফএম এনার্জির (সিঙ্গাপুর) তিনজন অংশীদারের একজন তাবিথ।
“কোম্পানিটির মূল্য দেখিয়েছে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে। এটা বিশ্বের যে কোনো দেশের টাকার অর্থেই বেশ বড়। কিন্তু এই তথ্য তাবিথ তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। তার মনোনয়ন আইনত বাতিল হতে বাধ্য।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে। মিন্টু বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান।
রিট আবেদনে তাবিথের পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি মানিক বলেন, “আগামীকাল বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রিটটির শুনানি হতে পারে। রিটের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও আব্দুল মতিন খসরু।”