নিউজ ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আশানুরূপ জনগণের ম্যান্ডেট না পাওয়ায় যেকোনো নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী হতে পারছে না বিএনপি। জানা গেছে, এরপরও গণতন্ত্র ও বিদেশি দাতাদের চাপে আসন্ন ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে বিএনপিকে। এরই মধ্যে ঢাকার দুই সিটির জন্য প্রার্থীও চূড়ান্ত করেছে দল। কিন্তু দলীয় সার্বিক ভঙ্গুরাবস্থা ও জনগণের সমর্থন হারানো বিএনপি এই নির্বাচনে পরাজয়ের শঙ্কা নিয়েও কোন আশায় অংশগ্রহণ করছে, সেটি নিয়েও দলটির অভ্যন্তরে চলে নানা সমালোচনা।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন রেখে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টিকে মাথায় রেখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়ালকে প্রার্থী মনোনীত করেছে দল। পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জন্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মনোনীত করেছে বিএনপির হাইকমান্ড।
দলীয় সূত্র বলছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিএনপির রাজনীতি। একটি পক্ষ মনে করে দুই সিটিতে তরুণ দুজন নেতাকে মনোনয়ন দিয়ে ভুল করেছে দল। অন্তত দক্ষিণ সিটিতে ইশরাক হোসেনকে না দিয়ে মির্জা আব্বাস অথবা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে মনোনয়ন দেয়ার পক্ষেও অনেকে কথা বলছেন। এছাড়া ঢাকার মতো দুই সিটিতে জয় ছিনিয়ে আনার মতো গ্রহণযোগ্যতা নেই এই দুই তরুণ নেতারা। তাই এই দুই সিটিতে অংশগ্রহণ করাকে নিয়ম রক্ষার কার্যক্রম বলছেন দলটির বিক্ষুব্ধ একটি অংশ। তাদের মতে, ঢাকার দুই সিটিতে জয়ের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বিএনপির। তাই পরাজয় এড়াতে হলে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী চূড়ান্ত করতে তাগাদাও দিচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে বিএনপির আরেকটি সূত্র বলছে, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা রাজনৈতিক বোকামি ছাড়া কিছু নয় বলে মনে করছেন দলটির সংস্কারপন্থী একটি অংশ। পরাজয় জেনেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকলে অবশ্য দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করা সম্ভব। তবে ক্রমাগত পরাজয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মনোবলকে আরো দুর্বল করে তুলবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।