রবিবার , সেপ্টেম্বর ২৯ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / আজ দিনাজপুরের বিরামপুর হানাদার মুক্ত দিবস

আজ দিনাজপুরের বিরামপুর হানাদার মুক্ত দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি  :দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার রয়েছে গৌরবগাঁথা ইতিহাস। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এই এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঘোড়াঘাট রেলগেট, কেটরা শালবাগান, ভেলারপাড় ব্রিজ, ডাক বাংলা ও প‚র্বজগন্নাথপুর মামুনাবাদে বাঙ্কারে সতর্ক অবস্থায় থাকে হানাদারেরা। ওরা ৪ ডিসেম্বর পাইলট স্কুলের সম্মুখে ও ঘাটপাড় ব্রিজে প্রচÐ শেলিং করে ভাইগড় গ্রাম দিয়ে তীরমনিতে ৪টি শেল নিক্ষেপ করে। দেশ ও স্বাধীকারের জন্য আমাদের দামাল ছেলেরা যৌবনের দ‚রন্ত সময়ে দেশ মাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে শত্রুদের হাত থেকে বিরামপুরকে মুক্ত করে।স্বাধীনতা যুদ্ধে ৭ নং সেক্টরের মেজর নাজমুল হুদা ও মেজর নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভারতের কালিয়াগঞ্জ তরঙ্গপুর ক্যাম্পে দেশ ও মাতৃকার টানে ২৮০ জন মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। যুদ্ধে অত্র উপজেলায় ২০ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পঙ্গুত্ব হন ২ জন এবং যুদ্ধে মারাত্মকভাবে আহত হন ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা। উপজেলা শহরের গোহাটির কুয়া, ঘাটপাড় ব্রিজ, ২নং রাইচ মিলেরর কুয়া বধ্যভ‚মি হিসাবে পরিচিত। যুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা করে শহীদদের লাশ এইসব স্থানে পুঁতে রাখে। আজো নির্মিত হয়নি কোথাও স্মৃতিস্তম্ভ। উল্লেখ্য, কেটরাহাটে লোমহর্ষক ও সম্মুখ যুদ্ধে ৭ জন পাকসেনা এবং ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর ৬ ডিসেম্বর বিরামপুর শত্রæমুক্ত করে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিযোদ্ধারা। দিবসটি উপলক্ষে ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

আরও দেখুন

মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম (বগুড়া): বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিতের কটুক্তির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *