রাজধানীর মিরপুরে প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার ২৮তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২১তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করে তিনি এ ভবনের উদ্বোধন করেন। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জানা যায়, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ভবনটিতে ৩০০ ছেলে ও ৩০০ মেয়ে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা দেওয়া ও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সুবর্ণ ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে ডিজঅ্যাবল কেয়ার ইউনিট, ইন-পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট, অটিজম রিসোর্স সেন্টার, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল সমস্যাযুক্ত ব্যক্তির থেরাপিভিত্তিক সেবা ও কাউন্সিলিং, কারিগরি ও সাধারণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম, অন্যান্য প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ইনক্লুসিভ স্কুল, ডে কেয়ার সেন্টার। ভবনে থাকছে শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থা, ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাপ্তরিক কক্ষ, লাইব্রেরি, মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স রুম, ক্যাফেটেরিয়া, নামাজের স্থান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রীর প্রদর্শন ও বিক্রয় ব্যবস্থা। এছাড়া ৫ তলা প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ থেকে শিক্ষা, খেলাধুলা, প্রশিক্ষণ, চিত্ত-বিনোদন ও স্বাস্থ্যসহ নানা সেবা পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই। যে সমাজে প্রতিবন্ধী, অটিজম ও সুস্থ মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে সকল মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সেবা সাহায্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা প্রতিবন্ধিতা এবং অটিজমে ভুগছেন তাদের ভালোভাবে লেখাপড়া করে যত্ন নিয়ে ট্রেনিং দিয়ে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায়। তারা যেন মূলস্রোতের সঙ্গে মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে থাকতে পারে। বাবা-মাকেও কষ্ট স্বীকার করতে হবে প্রতিবন্ধিতা দূর করার জন্য। এখানে যেটা সবচাইতে বড় প্রয়োজন সেটা হলো আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা ছোটবেলায় পড়েছি কানাকে কানা বলিও না, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না। এই শিক্ষা ছোটবেলা থেকেই শিশুদের দিতে হবে। সবাই মানুষ সবাই একসঙ্গে চলবে এটাই হচ্ছে বড় কথা। আমরা চাই দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদেরও গুরুত্ব দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধিতা থেকে উত্তরণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল এবং অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন-সংস্থা ও পিতা-মাতাকে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।