শিক্ষকের আর্থিক নিরাপত্তা ছাড়া মানসম্পন্ন শিক্ষা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি। তিনি বলেন মানসম্পন্ন শিক্ষা শুধু একটি বিষয়ের সঙ্গে জড়ি নয়। অনেক বিষয়ের উপর জড়িত। ধরেন আমি শিক্ষার অবকাঠামো দিলাম, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিলাম সবই করলাম তাহলে কি শিক্ষা মানসম্পন্ন হবে? সবকিছুর সঙ্গে শিক্ষকের আর্থিক নিরাপত্তাও জড়িত। আবার মনে করেন শিক্ষকের আর্থিক নিরাপত্তা দিলাম কিন্তু অবকাঠামো দিলাম না বা অবকাঠামো দিলাম না, তাহলেও মানসম্পন্ন শিক্ষা সম্ভব নয়।
- উচ্চতর গ্রেড নিয়ে সুখবর পাচ্ছেন শিক্ষকরা
- শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকের এ কেমন আচরণ!
- শিক্ষকের জন্মদিনে শিক্ষার্থীদের পেঁয়াজ উপহার
সদ্য ঘোষিত ২৭৩০ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির বিষয়ে নানা অসঙ্গতি এবং জনমনে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন দানা বাঁধায় রোববার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার বিকাল ৪টায় ব্যানবেইস সম্মেলন কক্ষে এমপিও নিয়ে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী।
অনেক স্কুলের শিক্ষার্থী নেই পাসের হার নেই এগুলো কিভাবে এমপিওভুক্ত হলো এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে এমপিও হওয়া স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দিয়েছেন সেসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, এমপিওপ্রাপ্ত ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সেগুলো আবার যাচাই বাছাই করা হবে। সেখানে কোন অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সহ সবার সহযোগীতা চান শিক্ষামন্ত্রী।
যুদ্ধাপরাধীদের নামে স্কুল এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব নাম এসেছে তারা তেমন পরিচিত কেউ নন। তবে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খবর নেওয়া হবে। পরবর্তীতের প্রয়োজনে নাম পরিবর্তন করা হবে। এমপিও বাতিল করা হবে না।
ভাড়া বাড়িতে থাকা প্রতিষ্ঠান এমপিও শর্ত ভঙ্গ করেনি বলেও মনে করি শিক্ষামন্ত্রী। এমপিও পেয়ে ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো আগেই টেন্ডার করা ছিল। এমপিও পাওয়ার কথা শুনে তারা তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু করেছেন।
একটি আগে এমপিও পাওয়া স্কুল এমপিওভুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওই স্কুলটির আসলে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য আবেদন করা ছিল। ভুলে তারা নিম্নমাধ্যমে এমপিওভুক্ত হেয়েছিল। তালিকা চূড়ান্ত করার সময় আগের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে না দেখায় এই ভুল হয়েছে।
তিনি বলেন, এমপিও ঢালাও ভাবে দেওয়া হয়নি। সর্বোচ্চ যোগ্যদের বিবেচনা করা হয়েছে। ভৌগলিক বিবেচনায় যে প্রতিষ্ঠান যোগ্য তাদেরই দেওয়া হয়েছে।