নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গুরুদাসপুর / পানিতে দুর্লভ ‘কালাপিঠ-চেরালেজি’ পাখি

পানিতে দুর্লভ ‘কালাপিঠ-চেরালেজি’ পাখি

গুরুদাসপুর থেকে মো. আখলাকুজ্জামান,
শীতের আগমনে মিষ্টিরোদের দুপুর বেলা। রোদ তার তীব্রতা বাড়িয়ে ধীরে ধীরে আলোকিত করছে চারপাশ। এর মাঝে পাখিদের অপূর্ব ডাকাডাকি। দেশের বৃহৎ চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র নাটোরের গুরুদাসপুরে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ের কিনারে শরীরে কালো-সাদা রং নিয়ে একটি পাখি গোসল করতে ব্যস্ত।
গুরুদাসপুরের নন্দকুজা নদীর কিনারে নেমে খাবার খুঁজতে গিয়ে এদিক-ওদিক পর্যবেক্ষণের পর গোসলের জন্য পানিতে নামে পাখিটি। একা একা গোসলের সময় নিজের ডানা দুটোকে বাতাসে মেলে ধরে। এভাবে কিছুটা সময় চলার তাকে দেখে আরেকটি কালো-সাদা রংয়ের পাখি খাবার খুঁজতে নদীর কিনারে তার কাছে চলে আসে। এসময় তাদের ডাকাডাকিতে মুখরিত হয়ে ওঠে নদীর পাড়। এভাবেই খাবার খুঁজতে গিয়ে পাখি দুটি নন্দকুজা নদীর পানিতে গোসল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
প্রায় আধাঘন্টা পর তারা উঁড়ে চলে যায় প্রকৃতির প্রান্তে। আবার হয়তো কোনো সময় কোনো দিন একই স্থানে খাদ্যের সন্ধানে ফিরে আসবে। এই পাখি দুটির নাম ‘কালোপিঠ চেরালেজি’। তবে কালোপিঠ-চেরারেজ বলেও কোনো কোনো বইতে উল্লেখ আছে। এর দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এরা লম্বা ও সরু আকারের পতঙ্গভুক পাখি। কালোপিঠ চেরালেজি দুর্লভ আবাসিক পাখি। এরা দেখতে আকারে অনেকটা দোয়েলের মতো।
চলনবিল অঞ্চলের চিরসবুজ বনের নদী, বিল, জলাশয় বা ঝিরি-ছড়া-ঝরনার আশপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় এই পাখিদের। এদের রয়েছে দীর্ঘলেজ। মাথা, গলা ও পিঠ কালো। কপাল সাদা। বুক ও পেট সাদা এবং চোখ বাদামি। এদের চঞ্চুও সাদা।
কালোপিঠ চেরালেজি পাখিরা পানিতে থাকা পাথর-ইট ও পাড়ে দাঁড়িয়ে একা খাবার খোঁজে। পানির পোকা ও কেঁচো তার খাদ্য তালিকায় রয়েছে। এদের পাহাড়ি ছড়া বা জলাশয়ের ধারে একা বা জোড়ায় ঘুরে বেড়াতে বেশি দেখা যায়

আরও দেখুন

নাটোরে প্রচারণাকালে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকের উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:নাটোর সদর উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারনাকালে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোস্তারুল ইসলাম আলমের ২জন কর্মী-সমর্থকের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *