নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ীঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বৈদ্যুতিক সংস্করণের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় গোদাগাড়ী সুলতানগঞ্জ এলাকায় ঘুরে এর সত্যতাও পাওয়া যায়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যাই,কিছুদিন আগে থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শত ভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য বৈদ্যুতিক কাজের সংস্করণের কাজ চলছে। এরই মধ্যে ফেটে যাওয়া কিছু কংক্রিটের পোল ভেঙ্গে গেলেও তা জোড়া তালি দিয়ে আবার সেগুলোই লাগানো হচ্ছে। এমনকি পুরাতন তার বা ক্যাবল ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসে।
সুলতানগঞ্জ এলাকার আব্দুস সালাম নামে এক ব্যাক্তি বলেন,সুলতানগঞ্জ করিডরে দীর্ঘদিন থেকে পড়ে থাকা কিছু পোল ফেটে নষ্ট হয়ে গেলেও বালু সিমেন্ট দিয়ে ফাটা বন্ধ করে পুনরাই এগুলো ব্যবহার করছে। এমনকি সুলতানগঞ্জ বাজারে ভূল করে পুতে দেওয়া একটি পোল উঠানোর সময় পুরোটা দুমড়ে মুচড়ে যাই সেটিকে তার দিয়ে বেধে ঢালাই করে পুনরাই ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে । এ অবস্থাই যদি উচ্চ ভোল্টেজ সম্পূর্ণ লাইনের তার এই পোলটিতে ব্যবহার করা হয় তবে একটু ঝড় হলে এটি ভেঙ্গে পড়বে। তাতে করে জনসাধারণের প্রচুর ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আবার এলাকায় এক স্থান থেকে পুরাতন তার খুলে অন্য স্থানে লাগাচ্ছে এতে আমাদের এলাকায় সঠিক ভোল্টেজ পেতে অসুবিধা রয়েই যাবে।
সংস্করণের কাজে নিয়জিত হেড মিস্ত্রী সবুর আলী বলেস,সুলতানগঞ্জ বাজারে একটি পোল উঠানোর সময় হালকা ভেঙ্গে গেলে সেটি প্লাস্টার করে অন্যত্র লাগানো হবে। অনান্য পোল রিপিয়ারের কথা আমি জানিনা। তবে আমরা ঠিকাদারের নির্দেশ মত কাজ করছি আমাদের কিছু করার নাই।
গোদাগাড়ী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হোসেন মন্ডল বলেন,গত দুই বছর আগে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) থাকা কালীন সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই টেন্ডার হয়। এই সংস্করণের কাজ প্রকল্পের লোকজন দেকভাল করে। আমরা শুধু আমাদের এলাকার সংস্করণের জন্য চাহিদা হেড অফিসে পাঠিয়েছি। তারা টেন্ডার দেন কাজ শেষে শুধু আমাদের বুঝিয়ে দেন তখন আমরা বুঝিয়ে নেই। তবে ভাঙ্গা পোল লাইনে ব্যবহারের কোন নিয়ম নাই। যদি এরকম কাজ করে তবে দেখে আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপকক্ষকে জানাবো তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এ বিষয়ে আর বেশী কিছু জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করেন। পুরাতন তার বা ক্যাবল ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সিডিউল মোতাবেক কিছু কিছু জাইগায় পুরাতন তার ব্যবহারের কথা লিখা আছে। কারণ রক্ষনাবেক্ষন কারার জন্য এক স্থান থেকে খুলে অন্য স্থানে ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মুকুল হোসেনের সাথে মুঠোফনে কথা হলে তিনি বলেন,আব্দুস সামাদ খান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করছে তবে ভাঙ্গা পোল ব্যবহারের কথা বলতেই তিনি বলেন বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন তারাই বলতে পারবে।
এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিমুল আকতারকে অবগত করা হলে তিনি জানান, গোদাগাড়ী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।