অনিয়মের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক গুরুদাসপুর,,,,,,,,,,,,মাহমুদা পারভীন নামের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে কোচিং বাণিজ্য,
শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকদের সাথে বিরুপ আচরণসহ নানা অনিয়ম এবং
স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও বদলির
দাবিতে নাটোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
মাহমুদা পারভীন গুরুদাসপুর পৌর সদরের ৪৮নং চাঁচকৈড় সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন। ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,
আওয়ামী লীগের প্রয়াত এক এমপির মদদপুষ্ট হওয়ায় ২০১৪ সালে
নিয়মবহির্ভূতভাবে শহিদুল ইসলামের নামের এক ব্যক্তিকে অন্যত্র বদলি করে সেখানে
প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মাহমুদা পারভীন। এই বিদ্যালয়ের দায়িত্বে
আসার পর থেকেই বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে সকালে এবং বিকেলে নিয়মিত কোচিং
বাণিজ্য শুরু করেন। প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের
সাথে অসদাচরণও করেন এই প্রধান শিক্ষক।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, মাহমুদা পারভীন বিদ্যালয়ের
আসার পর থেকে বিদ্যালয়ে কোচিং ব্যবসা চালু করেন। এনিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে
প্রতিবাদ করলেও লাভ হয়নি। উপরন্ত তাদের মতো অভিভাবকদের সাথে ধমকের সুরে কথা
বলেছেন প্রধান শিক্ষক। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরে তারা অভিযুক্ত প্রধান
শিক্ষকের শাস্তি ও বদলির দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারীদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান কালবেলাকে বলেন, সহকারি শিক্ষক এবং
স্থানীয় অভিভাবকদের সাথে অসদাচরণ করায় তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা
শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক মাহমুদা পারভীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগের ব্যপারে
তিনি অফিসিয়ালভাবে অবগত হয়েছেন। তবে যেসব ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
দিয়েছেন সেসব ব্যক্তিকে তিনি চেনেন না। কি কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
দেওয়া হয়েছে তাও তিনি জানেন না। তাছাড় তিনি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই প্রধান
শিক্ষক হিসেবে এই বিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন।
নাটোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম নবী কালবেলাকে
বলেন,চাঁচকৈড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি
অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।