সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / বগুড়া / নন্দীগ্রামে কৃষকরা খরিপ-২ মৌসুমে আমন ধান চাষাবাদে ব্যস্ত

নন্দীগ্রামে কৃষকরা খরিপ-২ মৌসুমে আমন ধান চাষাবাদে ব্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নন্দীগ্রাম (বগুড়া) বগুড়ার নন্দীগ্রামে কৃষকরা খরিপ-২ মৌসুমে আমন ধান চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার ফসলি জমির মাটিতে উর্বরশক্তি বেশি থাকায় বছরে তিনবার ভালোভাবে ধান চাষাবাদের পাশাপাশি একবার রবিশস্যর চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। একসময় এই উপজেলার কৃষকরা শুধুই ধান উৎপাদনে পারদর্শী ছিলো। এখন এই উপজেলার কৃষকরা রবিশস্য উৎপাদনেও পারদর্শী। মোট চারটি ফসল উৎপাদন করে এই উপজেলার কৃষকরা অনেকটা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। এতে কমেছে ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ। 

আমন ধান চাষাবাদ চলাকালে অনাবৃষ্টি দেখা না দিলে গভীর-অগভীর নলকূপ দিয়ে পানি সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। বৃষ্টির পানিতেই আমন ধান চাষাবাদ সম্পন্ন করা হয়। বোরো ধানের তুলনায় আমন ধানের ফলন কিছুটা কম হলেও তবুও লাভবান হয়ে থাকে কৃষকরা। এর কারণ ধানের বাজারমূল্য সন্তোষজনক। যে কারণে কৃষকদের আর মাথায় হাত দিতে হয় না। শস্যভাণ্ডার খ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা এখন জমিতে হালচাষ করে আমন ধানের চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত রয়েছে। উপজেলার হাটলাল গ্রামের আদর্শ কৃষক মিনহাজুর রহমান হাবিব বলেন, এখন জমিতে হালচাষ এবং আমন ধানের চারা রোপণ করার কাজ চলছে। শ্রাবণ মাসের মধ্যেই আমন ধানের চারা রোপণ করার কাজ শেষ হবে। 

উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব ভট্রাচার্য্য বলেন, খরিপ-২ মৌসুমে এই উপজেলায় ২০ হাজার ১৬ হেক্টর আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কিছু কমবেশি হতেও পারে। আমরা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আসছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, কৃষকদের আদর্শ বীজতলা তৈরি করা, জমিতে জৈব সার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগসহ লাইনে ধানের চারা রোপণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই উপজেলার কৃষকরা ভালোভাবে বছরে তিনবার বিভিন্ন জাতের ধান চাষাবাদের পাশাপাশি একবার রবিশস্যর চাষাবাদ করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রতি বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধান-রবিশস্যর বীজ ও সার দিয়ে আসছে। এতে তারা অনেক উপকৃত হয়। এই উপজেলার মাটিতে উর্বরশক্তি বেশি রয়েছে। তাই বছরে ভালোভাবে চারবার চাষাবাদ করা সম্ভব হয়। বছরে চারবার চাষাবাদ করে কৃষকরা অনেকটা লাভবান হচ্ছে।

আরও দেখুন

লালপুরের গণেশ চন্দ্র দাস আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,উত্তরবঙ্গের খ্যাতিমান ফুটবল খেলোয়াড় নাটোরের লালপুর সদরের বাসিন্দাশ্রী গণেশ চন্দ্র দাস (৮০)বার্ধক্যজনিত কারণে …