নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন সিন্ডিকেটের নোংরা কারসাজিতে টানা ১ মাস বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে তুরস্ক, মিশর ও মিয়ানমার থেকে সরকারি উদ্যোগে পেঁয়াজ আমদানিরে ঘোষণা পরপরই কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। আমদানি শুরু হওয়ায় রোববার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের কেজি প্রতি কমেছে ৬০ টাকা।
সরজমিনে রাজধানী ঢাকার কচুক্ষেত, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ১ নাম্বার, ফকিরাপুল ও বাড্ডার নতুন বাজার পর্যবেক্ষণ করে পেঁয়াজের দাম করার বিষয়ে জানা গেছে। একদিনের ব্যবধানে প্রকার ভেদে প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম কমায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বস্তির বিষয়েও জানা গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে পেঁয়াজের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দাম কমানোর তাগিদে সরকারের উদ্যোগের প্রশংসাও করেছেন তারা।
পেঁয়াজ বিক্রেতা ও আড়তদাররা বলছেন, শনিবার (১৬ নভেম্বর) খুচরা বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে রোববার তা প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে।
মিরপুর কচুক্ষেত বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মনি জানান, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজ এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে আসছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কম দামে কিনতে পারার কারণেই সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে বিক্রি করতে পারছি। দেশজুড়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারে মনিটরিং শুরু হয়েছে। তাই কমতে শুরু করেছে পেয়াজের দাম। সামনে আরও কমবে পেঁয়াজের দাম। এছাড়া সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। সরকারের এমন কল্যাণমূলক পদক্ষেপে পেঁয়াজের অশান্ত বাজার শান্ত হতে শুরু করেছে।
এদিকে কারওয়ান বাজার কাঁচা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মতিউর রহমান জানান, গত দুই দিন থেকে পেঁয়াজের দাম অনেকটা বেশি ছিলো। তবে রোববার কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমেছে। সরকারকে এজন্য ধন্যবাদ দিতে চাই। পেঁয়াজ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে সরকার জনগণের কষ্ট লাঘবে কাজ করছে। সরকারের এমন উদ্যোগে আমরা সাধারণ মানুষ অনেক খুশি