শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / বড়াইগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি, দোকান ভাংচুর, লুটপাট, আহত ৮

বড়াইগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি, দোকান ভাংচুর, লুটপাট, আহত ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক,বড়াইগ্রাম:
নাটোর ৪ আসনে (বড়াইগ্রামে—গুরুদাসপুর) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নৌকার কমীর্দের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সাতটি বাড়ি ও দুটি দোকান ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মহিলাসহ আটজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের দিয়াড়গাড়ফা মাষ্টার পাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন, উপজেলা দিয়াড় গাড়ফা মৃত হেদায়েত উল্লাহর ছেলে এমদাদুল হক ইন্তাজ (৭০), তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬০) ও পুত্রবধু মিনারা বেগম (৩৮), ইসমাইল হোসেনের ছেলে গুলজার হোসেন, আরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (৩৫) ও চয়েন উদ্দিনের স্ত্রী মাহবুব আলম (৩৬)। এছাড়াও বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এমদাদুল হক ইন্তাজ বলেন, আমার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের কর্মী ছিলাম। নির্বাচনে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হন। সেই সময় থেকেই নৌকার কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন হুমতি ধামকি দিয়েছিল। তারই সুত্র ধরে শুক্রবার সকালে শতাধিক নৌকা সমর্থক চান্দাই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সুজন আহম্মেদের নেতৃত্বে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।

আমি বাধা দিলে আমাকে ও আমার ছেলে জুলফিকার আলী ভূট্টু, ইসমাইল হোসেনের ছেলে গুলজার হোসেন, শাহীন আলম, দেলোয়ার হোসেন ও গোলাম হোসেন এবং হাফিজুর রহমানের ছেলে সানোয়ার হোসেনের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া মাহবুব আলমের মেকানিকের দোকান ও গুলজার হোসেনের সিমেন্টের দোকানও ভাংচুর করে তারা। এ সময় হামলাকারীরা এসব বাড়ি থেকে মোট সাড়ে ৯ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণের গহনা লুটে নিয়ে যায়।

সুজন আহম্মেদের বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে দিয়াড় গাড়ফা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিজানুর রহমানের জামাতা দেলবর হোসেন (৪৫) ওই গ্রামের ইদ্রিস আলীকে (৫৫) পুর্ব—শত্রুতার জেরে মারপিট করে হাত—পা ভেঙ্গে দেয়। তিনি (ইদ্রিস আলী) নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার দেলবর হোসেনের লোকজন আবারো ইদ্রিস আলীর লোকজনের উপর হামলা চালানো চেষ্টা করলে তারা প্রতিহিত করে। এই ঘটনায় আমি জড়িত নাই।

বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডলি রানী বলেন, পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতে চিহৃ রয়েছে। বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরল মুরমু জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও দেখুন

রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে  ১৫ভরি স্বর্ণের ও 

১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,  নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার  পথে পথ …