নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রুপালী ব্যাংকের একজন গ্রাহক নিজ একাউন্টের তথ্য জানতে তথ্য আইনে আবেদন করায় শাখা ব্যবস্থাপক তার সঙ্গে অসাদাচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মুসা বিশ্বাস রনি দাবি করেন, তার নিজ নামীয় একান্টের বিষয়ে লিখিত তথ্য চেয়ে আবেদন করেন তিনি। প্রথমে তাকে একদিন পরে আসতে বললেও তাকে তথ্য দেওয়া হয় না। পরে তথ্য অধিকার আইনে নির্ধারিত ফরমে আবেদন জমা দিলে তার সঙ্গে অসদাচরণ করেন।
রুপালী ব্যাংকের তমালতলা শাখার ব্যবস্থাপক উৎপল কুমার তথ্য আবেদন জমা না নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি তথ্য চেয়ে বারংবার ঝামেলা করছেন। আমি ডিজিএম স্যারের অনুমতি পেলে তথ্য আবেদন গ্রহণ করবো। অন্যথায় আবেদন নিতে পারবো না।
অভিযোগকারী মুসা বিশ্বাস রনি জানায়, তিনি রুপালী ব্যাংকে লিমিটেডের তমালতলা বাজার শাখার চলতি হিসাধারী একজন গ্রাহক। চেক হারিয়ে যাওয়ায় রনি বাগাতিপাড়া মডেল থানায় জিডি করে তা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে রিসিভ কপি সংগ্রহ করেন। কিন্তু জনৈক ব্যক্তি হারানো চেকে পাঁচ লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা লিখে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করার চেষ্টা করে। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজনার করে দেয়ায় ওই ব্যাক্তি মামলা সংক্রান্ত ঝামেলা করে টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ করেন রনি। বর্তমানে গ্রাহক রনি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে নিজ হিসাবের তথ্য জানতে চেয়ে প্রথমে লিখিত আবেদন করলে একদিন পরে যোগাযোগ করতে বললেও তথ্য দেন না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে রনি তথ্য অধিকার আইনে নির্ধারিত ফরমে আবেদন জমা দিতে গেলে বারংবার ঝামেলা করছে বলে পুলিশের ভয় দেখায় এবং তথ্য আবেদন জমা না নিয়ে অসদাচরণ করে রনিকে ফিরিয়ে দেন শাখা ব্যবস্থাপক উৎপল কুমার ।
এ ঘটনায় বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, তথ্য আইনে আবেদন করলে আবেদনকারীকে তথ্য দিতে হবে। আর হিসাবধারী নিজেই তার হিসাবের তথ্য চেয়েেেছন তাকে তো তথ্য দিতেই হবে। শাখা ব্যবস্থাপক তথ্য আবেদন গ্রহণ না করে ভুল করেছেন। যদি আইন বহির্ভূত বিষয় হয়, তাহলে আবেদনকারীকে চিঠির মাধ্যমে জানাতে হবে। কোনভাবেই অবহেলার সুযোগ নেই। গ্রাহকের আবেদন পেলে বিষয়টি দেখবো।