নিউজ ডেস্ক:
সরকার ছয় কিলোমিটার নদীভাঙন রোধে ৫৫২ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধ করতে তীর সংরক্ষণে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যালয়, হাটবাজার, রাস্তা, ব্রিজ, ফসলি ও বাসযোগ্য জমি, বসবাসের বাড়িঘর, ধর্মীয় উপাসনালয়, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধকল্পে নদী তীর সংরক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। ২০২৫ সালের ৩০ জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার নদীর তীর সংরক্ষণমূলক কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার এলাকা নদীভাঙন থেকে রক্ষা করা হবে। প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখাই প্রকল্পটি গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য।
এদিকে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় পদ্মা নদীর করাল গ্রাস থেকে এলাকার ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণমূলক কাজ করা হবে। প্রকল্পটি চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রকল্পটি ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকে অনুমোদন করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র আরও জানায়, সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ। বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ ও সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পানিসম্পদ সেক্টরের অন্যতম উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হচ্ছে নদীর তীর সংরক্ষণ, নদী/খাল খনন/পুনঃখননের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, নদীভাঙন রোধ করে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা। এ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে প্রস্তাবিত প্রকল্পটির কার্যক্রম সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করে পরিকল্পনা কমিশন।
এমন পরিস্থিতিতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি ৫৫২ কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন মেয়াদে বাস্তবায়নে একনেকের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম জানিয়েছেন, প্রকল্পটি খুবই সময়োপযোগী। পদ্মা নদীর করাল গ্রাস থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষার পাশাপাশি প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় হবে।