নিজস্ব প্রতিবেদক:
- প্রকল্প হাতে নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ
নতুন করে পাঁচ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এর আগে চর্তুথ শিল্পবিপ্লব বাস্তবায়নে সারাদেশে আট হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব’ গড়ে তোলা হয়েছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), রোবটিকস, ব্লকচেইন, বিগ ডাটার মতো নতুন নতুন প্রযুক্তি পৃথিবীকে দ্রুত বদলে দেবে। ডিজিটাল ল্যাব তরুণ প্রজন্মকে প্রোগ্রামিং শেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ই-শিক্ষা ডট নেট এ শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। প্রোগ্রামিং হবে ভবিষ্যতের ভাষা। কেননা এটি যন্ত্রের সঙ্গে মানুষ এমনকি যন্ত্রের সঙ্গে যন্ত্রের যোগাযোগের মাধ্যম। বিগডাটার মতো প্রযুক্তি আয়ত্ত করতে গেলে প্রোগ্রামিংয়ের কোন বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্মের জন্য বিগডাটা সহজে হাতের কাছে পেতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রোগ্রামিং নিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক জনকণ্ঠকে বলেন, প্রোগ্রামিংয়ের জন্য ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ভাষা শেখার বিষয়টি আগে আয়ত্ত করতে হবে। বিশেষ করে অঙ্ক, ইংরেজী ও বিজ্ঞানের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের গভীর যোগাযোগ থাকতে হবে। বর্তমান পৃথিবী পরিচালনায় প্রোগ্রামারদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তারাই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। স্কুল পর্যায়ে ভাল প্রোগ্রামার তৈরি করার জন্য চলমান ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব’ প্রকল্পে আরও সাড়ে ৫ হাজার ল্যাব স্থাপন করা হবে। যাতে স্কুল থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হয়ে বেড়িয়ে আসতে পারে এমন উদ্যোগ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ বাস্তবায়ন করে আসছে। করোনা মহামারীতে প্রকল্পের কাজ প্রথম দিকে হোঁচট খেলেও এখন অনলাইনে প্রোগ্রামার তৈরি করা হচ্ছে। যাতে প্রোগ্রামারদের কোন ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়। আমরা তরুণ তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে বেশ কয়েকটি কোর্স চালু করেছি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোর্স হচ্ছে প্রোগ্রামিং। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার পরামর্শে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে পেরেছি। শৈশব ও কৈশোর থেকেই যেন শিক্ষার্থীরা গ্রোগ্রামিং জানতে পারে এ জন্য ইতোমধ্যেই আট হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, গত ১১ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ওই বছর অনেক নতুন প্রযুক্তি এসেছে। ২০২০ সাল শেষে প্রযুক্তি কোন পর্যায়ে যাবে তা প্রযুক্তিবিদরা ভাবতে পারছিলেন না। তবে এ বছর করোনার মহামারীর কারণে প্রযুক্তি পণ্যের বিকাশ কতটা ঘটবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে কি অপেক্ষা করছে তার জন্য বছরের শেষ দিন পর্যন্ত দেখতে হবে। যদিও করোনার মতো মহামারী বিশ্বজুড়ে একটা স্থবিরতা তৈরি করেছে। নতুন প্রযুক্তির খবর এখন আর ওইভাবে প্রকাশ পাচ্ছে না। তবে নতুন প্রযুক্তি যে আসবে না তা বলা মুশকিল। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), রোবটিকস, ব্লকচেইন, বিগ ডাটার মতো নতুন প্রযুক্তি পৃথিবীকে দ্রুত বদল করে দিচ্ছে। প্রযুক্তিপ্রেমীরা শিখেছেন অনলাইনে কাকে বিশ্বাস করতে হবে, ইন্টারনেট জগতে কখন কথা বলতে হবে, কিভাবে অন্য দেশে না গিয়ে বা বাইরের টিভি চ্যানেলের সাহায্য না নিয়েই বড় কোন অনুষ্ঠান ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্ট্রিম করে দেখতে হবে। প্রযুক্তি খাতের এ ধরনের অবিশ্বাস্য সব ক্ষমতা এখনই চোখে পড়ছে। সব মিলিয়ে প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের কল্যাণে অনেক কিছু মানুষের আয়ত্তে চলে এসেছে।