নিউজ ডেস্ক:
৪০ বছরের বেশি বয়সীরাও টিকা নিতে পারবে বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বয়সসীমা ৫৫ বছর ছিল।
এছাড়া আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেওয়া হবে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ। এসময় যুবকদের, সম্মুখযোদ্ধাদের পরিবারকেও টিকার আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে টিকা নিলেও মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে বলে মন্ত্রিসভায় নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, বয়স ৪০ এর বেশি সকল ব্যক্তি ও টিকা গ্রহনকারী ব্যক্তির পরিবারসহ করোনার টিকা গ্রহণ করতে যেন পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আজ মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরে এই নির্দশনাটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও জানানো হয়েছে।
গ্রামাঞ্চলে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও শহরাঞ্চলে বিজনেস সেন্টারে গিয়ে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এছাড়া সবাই যাতে টিকা নেন সে বিষয়ে প্রচার চালাতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসময় টিকা দেয়া নিয়ে যাতে কোনো অব্যবস্থাপনা না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন সরকার প্রধান।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে টিকা দান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। এ দিন প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই টিকা নিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকা নেওয়ার আগে বলেছিলেন, সারা বছরব্যাপী আমাদের এই টিকা কর্মসূচি চলবে। এটা একদিনের বিষয় নয়, এক মাসের বিষয় নয়। দেশে করোনার শুরু থেকেই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমারা সফলও হয়েছি। সব সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশর অবস্থান অনেক ভালো রয়েছে।