নিউজ ডেস্ক:
৫২ হাজার ৫০ টন সরকারি গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে শনিবার এসেছে আরও একটি জাহাজ। সরকারিভাবে আমদানিকৃত এসব গম ল্যাব টেস্ট করে খালাস করা হবে দু’দিন পর। এর আগে গত সপ্তাহেও ৫০ হাজার টন সরকারি গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে।
সরকারি এক লাখ টন গম নিয়ে আরও দুটি জাহাজ আসবে আগামী মাসে। বেসরকারিভাবে আমদানি করতে পাইপলাইনে আছে আরও পাঁচ লাখ টন গম। অথচ ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে- এমন অজুহাতে গত এক সপ্তাহ ধরে চড়া গমের বাজার। চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি মোকাম খাতুনগঞ্জে সাত দিনের ব্যবধানে গমের দাম বেড়েছে মণে ২০০ টাকা। আর এর প্রভাবে বেড়ে যাচ্ছে আটা ও ময়দার দামও।
খাদ্য বিভাগ চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের বলেন, ‘চলতি মাসেই এক লাখ দুই হাজার ৫০টন গম নিয়ে দুটি জাহাজ এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এর মধ্যে একটি জাহাজ ১৬ মে নোঙর করেছে। আরকেটি নোঙর করেছে আজ। গত সপ্তাহে আসা গমের নমুনা ল্যাবে পরীক্ষা করার পর খালাস প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এক লাখ টন গম নিয়ে আরও দুটি জাহাজ আসবে অর্থ বছর শেষ হওয়ার আগে।’
চালের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যশস্য হচ্ছে গম। দেশে বছরে ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১১ লাখ টন গম উৎপাদন হয় দেশে। বাকিটা আমদানি করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আমদানি তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ১০ মাসে ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টন গম দেশে এসেছে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পর্যাপ্ত গম আমদানি হয়েছে। ভারত রপ্তানিতে বিধিনিষেধ দিলেও সেটা খুব সাময়িক সময়ের জন্য। সরকারিভাবে গম আনতে কোনো বাধা নেই ভারতের। বেসরকারি পর্যায়ে যারা চুক্তি করে ফেলেছেন প্রয়োজনে তাদের ব্যাপারেও ভারতের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। এখন ডলারের দামটা নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’