নিউজ ডেস্ক:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, ভারতীয় সরকারের আইটেক (ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) প্রগ্রামের আওতায় এ বছর ৫০০ পেশাজীবী ভারতে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এ বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় সরকার অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন বৃত্তি ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সুযোগ প্রদান করছে।
আইআইটিএস, এনআইটিএসের মতো ভারতের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে আগ্রহী বাংলাদেশসহ বিশ্বের সেরা প্রতিভাদের আকর্ষণ করে আসছে। ‘
এ সময় তিনি ভারতীয় সরকারের আইসিসিআর ও মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তির কথাও তুলে ধরেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি পেশাজীবী আইটেক প্রগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা লাভ করেছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘আইটেক প্রগ্রামে বর্তমান বাংলাদেশসহ ১৬০টি দেশের পেশাজীবীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করছে। এতে এখন পর্যন্ত ২২০০০ ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেশী বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগী। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আমাদের উন্নয়ন অংশীদারত্ব আমাদের পারস্পরিক সম্পৃক্ততার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ‘
এই বছর সুবর্ণ জয়ন্তী বৃত্তি উন্মোচনকে তিনি একটি উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘এখানে বাংলাদেশ প্রতিবছর আইটেকের জন্য ৫০০টি আসনপ্রাপ্ত হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বেশ কিছু টেইলর-মেড প্রগ্রাম আয়োজন করা হয়। ‘
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আইডিইবির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এ হামিদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইটেক অ্যালামনাই ও সরকারি তিতুমীর কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক শেখ নাজিয়া জাহান। অনুষ্ঠানে আইটেক অ্যালামনাইরা তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।