নিউজ ডেস্ক:
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত ১১ ধরনের নথিপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পৌঁছেছে। দুদকের নোটিশ পাওয়ার পর কয়েক ধাপে গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে ঐ নথিপত্র দুদকে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিও বরাবর কাগজপত্র চেয়ে দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রধান ও উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ পাঠানো হয়।
গ্রামীণ টেলিকমের কাছে যে নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল তা হলো, ২০০৬-২০১০ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৩৬৪ কোটি ১৭ লাখ ৯ হাজার ১৪৬ টাকার ৫ শতাংশ অর্থ প্রদান সংক্রান্ত তথ্যাদি বা রেকর্ডপত্রের ফটোকপি। উক্ত অর্থ কাকে কীভাবে, কোন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে তার বিবরণ ছকে দিতে হবে। প্রয়োজন সাপেক্ষে রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত কপি। এছাড়া গত ১৯৯৭-২০২২ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বাবদ শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা টাকা পরিশোধকালে ফি এবং অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ টাকা কর্তন সংক্রান্ত তথ্যাদি বা রেকর্ডপত্রের ফটোকপি। উক্ত অর্থ কাকে কীভাবে, কোন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে তার বিবরণ ছকে দিতে হবে। প্রয়োজন সাপেক্ষে রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত কপি।
গত ১৯৯৭-২০২২ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রের কপি বা তথ্যাদি। উক্ত কোম্পানির কল্যাণ তহবিলে ঐ অর্থ স্থানান্তর করা না হলে উক্ত অর্থ কোথায়, কীভাবে, কোন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে খরচ করা হয়েছে তার তথ্যাদি।
গত ১৯৯৭-২০২২ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ হতে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা ড. ইউনুস ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর সংক্রান্ত নথিপত্র।
গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির ১৯৯৭ থেকে বর্তমান পর্যন্ত পরিচালনা পর্ষদের বিস্তারিত তথ্য, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি পরিচালনার আইন ও বিধিসমূহ, পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্যের উক্ত কোম্পানি থেকে ঋণ পাওয়ার বৈধ অধিকার রয়েছে কি না বা এ পর্যন্ত পর্ষদের কোন কোন সদস্য কত টাকা ঋণ নিয়েছেন এবং ঋণের অর্থ কীভাবে উত্তোলন করেছেন, সে সমস্ত তথ্যাদি ছকে দিতে হবে এবং এতদসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত কপি।
গ্রামীণ ফোন কোম্পানিতে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির কত শতাংশ শেয়ার রয়েছে এবং এ শেয়ারের বিপরীতে ১৯৯৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি কত টাকা লভ্যাংশ পেয়েছে, উক্ত লভ্যাংশের টাকা কোন কোন খাতে কীভাবে ব্যয় করেছে, তার বছরভিত্তিক তথ্য।