৩৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএফডিসি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজকরা যাতে স্বল্প সুদে ঋণ পান এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। খুব শিগগিরই এর বাস্তবায়ন হবে। এছাড়া শিল্পীদের যাতে আর দুস্থ না থাকতে হয় এজন্য ‘শিল্পী কল্যাণ তহবিল’ গঠন প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে প্রতিবছরই সরকার পূর্ণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং প্রামাণ্যচিত্র ক্যাটাগরিতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান প্রধান করে। চলচ্চিত্র কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এ আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১ কোটি টাকা করার। অবশেষে এ অর্থবছর থেকে তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে তথ্যসচিব এ তথ্য জানান।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান সম্পর্কে কমিটির একটি সূত্র জানান, আগামী বছর থেকে পূর্ণদৈর্ঘ্য শাখায় আটটির জায়গায় ১০টি ছবিকে অনুদান দেওয়া হতে পারে। আর অনুদানের অর্থের পরিমাণ ৬০ লাখ থেক বাড়িয়ে ৭৫ লাখ হতে পারে। তবে অর্থের বিষয়টি নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে কারণ এর সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয় জড়িত।
তবে অনুদানের কলেবর বাড়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আটটি সিনেমার জায়গায় মোট ৯টি সিনেমা অনুদান দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।