নিউজ ডেস্ক:
ভোজ্যতেল নিয়ে সারা দেশে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই অব্যাহত রয়েছে আমদানি। চট্টগ্রাম বন্দরে ৩২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে এসেছে দুটি জাহাজ। প্রায় ৪৩ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে আসছে আরও একটি জাহাজ। অর্থাৎ মোট ৭৫ হাজার টন সয়াবিন তেল খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, একটি জাহাজ ১০ মার্চ ১২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে বন্দর সীমায় এসেছে। ২০ হাজার টন তেল নিয়ে ১২ মার্চ এসেছে আরও একটি জাহাজ। এদিকে ৪২ হাজার ৮৫০ টন সয়াবিন তেল নিয়ে ১৯ মার্চ আসছে আরও একটি জাহাজ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাহাজ থেকে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল রিফাইনারিতে নিয়ে পরিশোধের পর আমদানিকারকরা বাজারজাত করেন। খালাস ও পরিশোধন শেষে আমদানি করা তেল বাজারে ছাড়তে ১৫ দিন থেকে ১ মাস লেগে যেতে পারে।
চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি ভোগ্যপণ্যের বাজার চাকতাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।
এখানকার পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক যুগান্তরকে বলেন, দেশে সয়াবিন তেলের সংকট নেই। ৬ মাসেও কোনো সংকট হবে না। তবে পাম অয়েলের মজুত তুলনামূলক কম। গ্রীষ্মে পাম অয়েলের চাহিদা বেড়ে যায়। সেই অনুযায়ী এই তেল আমদানি হচ্ছে না।
তিনি জানান, সয়াবিন তেলের বুকিং রেটও বেড়েছে। এখন যে রেটে এলসি হচ্ছে, সেই তেল দেশে এলে প্রতি মন পাম অয়েল ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হবে। বর্তমানে প্রতি মন পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৮০০ টাকায়।