নিউজ ডেস্ক:
এখন ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থের সঞ্চয়পত্র কিনতে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। আগামী অর্থবছর থেকে এ সীমা বাড়ছে।
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে দুই লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন সার্টিফিকেট লাগবে না। অর্থাৎ দুই লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র ক্রয় এবং পোস্টাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে টিআইএন বাধ্যবাধকতা থাকছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সাধারণত বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার দুই উৎসের আশ্রয় নিয়ে থাকে। বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ উৎস। আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎসের উপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে বৈদেশিক উৎসের প্রতি নির্ভরতা বাড়ানো হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ খাত থেকে এবার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নেবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। আর জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেবে ৩২ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে পাঁচ হাজার এক কোটি টাকা।
বাজেটে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ পাওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে, সেটাও এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। ২০২০-২১ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় তা সংশোধন করে ৩০ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সেটিকে আরও বাড়িয়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।