শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে জনসচেতনতার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। এই লক্ষ্যে দুই’শ ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে লক্ষ্য করে ছয় মাসের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও চার মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে শিশুশ্রম হতে প্রত্যাহার করা হবে। এই এক লাখ শিশুর বাবা-মাকে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা ও প্রশিক্ষণ শেষে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য এককালীন ১৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হবে।
গত শনিবার বরিশাল সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে ‘ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসন, বিভাগীয় শ্রম অধিদফতর এবং বরিশাল কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানর আয়াজন করে। কর্মশালায় সহযোগিতা করে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ শিক্ষিত জাতি গঠনে শিশুশ্রমকে না বলতে হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে কেউ শ্রমে লাগাতে পারবেন না। চৌদ্দ থেকে আঠারো বছরের নিচে ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন কাজে লাগাতে পারবেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, সরকার ঘোষিত ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কাজের মধ্যে এরইমধ্যে গার্মেন্টসসহ তিনটি খাতকে শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগিরই আরো ১১টি খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করতে কাজ করছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মাদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।