নিউজ ডেস্ক:
বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত করতে তথ্য যাচাই করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আর এই ঈদের ছুটির মধ্যেই শেষ হচ্ছে নির্বাচিত প্রার্থীদের ভি-রোল ফরম পূরণের সুযোগ। ধারণা করা হচ্ছে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই নিয়োগ প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্রমতে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চাইবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নির্বাচিত প্রার্থীদের ভি-রোল ফরম পূরণের সুযোগ আছে। তারপর সনদ যাচাই শেষে জুলাই মাসের প্রথমার্ধ্বেই চূড়ান্ত সুপারিশের অনুমতি চাওয়া হবে। সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন। বেসরকারি শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। তারপর অনলাইনে নিবন্ধিত প্রার্থীদের আবেদন নিয়ে গত ১২ মার্চ ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য গত ২৬ এপ্রিল থেকে এসব প্রার্থীর ভি-রোল ফরম অনলাইনে পূরণের সুযোগ দেয়া হয়। পরে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এমপিও নীতিমালা মেনে নির্ভুলভাবে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করতে এখন তাদের শিক্ষা সনদ যাচাই করা হচ্ছে। এ জন্য প্রথম থেকে পঞ্চম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শিক্ষা সনদ ইতোমধ্যে জমা নেয়া হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে একাদশ নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ যাচাই হচ্ছে।
এ দিকে তথ্য যাচাইয়ের কাজে জড়িত কর্মকর্তারা জানান, সাড়ে ৩২ হাজার নির্বাচিত করা হলেও ২৫ থেকে ২৬ হাজার প্রার্থী চূড়ান্ত সুপারিশ পেতে পারেন। তবে, যাচাই কাজ শেষ হওয়ার আগে কতজন প্রার্থী বাদ পড়ছেন তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এনটিআরসিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এনটিআরসিএর নিয়োগ সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৩০ জুনের পর ভি-রোল ফরম পূরণের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই।
সংস্থাটির সচিব মো: ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রার্থীদের ভি-রোল ফরম পূরণ ও সনদ যাচাইয়ের কাজ শেষ হলে তাদের ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হবে।
অবশ্য কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ ভেরিফিকেশনের রিপোর্ট মাঠপর্যায় থেকে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মতো চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীদেরও ভেরিফিকেশনের কাজ চলমান রেখে চূড়ান্ত সুপারিশ করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে তা নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির ওপর।