নিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের টিকা নিবন্ধনের বয়সসীমা ২৫ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মহামারীতে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বেশির ভাগ জনগণকে সুরক্ষিত রাখার অংশ হিসেবে সরকার বেশ কিছু দিন আগেই এ সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী এখন সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা নিবন্ধন করতে পারছেন।
বুধবার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
এতদিন ২৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক এবং সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির নাগরিকরাই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছিলেন।
বুধবার করোনাভাইরাসের টিকার জন্য সরকারের সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনে গিয়ে দেখা গেছে, কোভিড নিবন্ধন ফর্মে নাগরিক নিবন্ধনের ঘরটিতে ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সীদের নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে।
এর বাইরে বিশেষ ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বিদেশগামী কর্মী ও শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে সরকার।
দেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার আগে নিবন্ধন করতে হয়। গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। তখন শুধু ৪০ বছর বা এর বেশি বয়সীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছিলেন।
গত ৫ জুলাই আগের চেয়ে আরও পাঁচ বছর কমিয়ে টিকার নিবন্ধনের জন্য যোগ্যদের বয়স ৩৫ বছর করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এরপর গত ১৯ জুলাই আরও ৫ বছর কমিয়ে ৩০ বছর এবং ২৯ জুলাই টিকা নেওয়ার বয়সসীমা আরও ৫ বছর কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আসাদের দীর্ঘ লাইন। ফাইল ছবি: মাহমুদ জামান অভি
এর বাইরে সময়ে সময়ে বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা নিবন্ধনের মাধ্যমে কোভিড থেকে সুরক্ষায় টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সবশেষ গত ১৪ অক্টোবর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেওয়া হয়।
ওইদিন মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু্টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়।
এর মাধ্যমে দেশে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। ওই শিশুদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
এজন্য বিশেষ ব্যবস্থায় নিবন্ধন করতে স্কুলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে।
দেশে গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫ কোটি ৫০ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
এর মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৩ কোটি ৯১ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ।