নিউজ ডেস্ক:
ঢাকার যানজট থেকে মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল চলাচলের সময় নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে মেট্রোরেল। চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত।
উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ প্রায় শেষ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এ অংশে মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন করা হবে। কাজ চলছে প্রকল্পের বাকি অংশেও। তবে মতিঝিল ছাড়িয়ে মেট্রোরেলের রুট কমলাপুর পর্যন্ত নেয়ায় প্রকল্পের কাজ বেড়ে গেছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার ধরে মেট্রোরেলের রুট দাঁড়াচ্ছে ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। কাজ বাড়ার কারণে বেড়েছে ব্যয়ও। ডিপিপির দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।
এদিকে সভায় মেট্রোরেল প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, উন্নত বিশ্বের মতো তৈরি করা হচ্ছে মেট্রোরেলের চার স্টেশন প্লাজা। প্রস্তুত লাল সবুজে রাঙানো মেট্রোরেলের আইকনিক স্টেশনও। জাপানের আদলে তৈরি হচ্ছে এসব স্টেশন। নান্দনিক এসব স্টেশনে থাকছে যাত্রীদের অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য স্থাায়ীভাবে পাস ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। মেট্রোরেলের উত্তরা, আগারগাঁও, ফার্মগেট ও কমলাপুর স্টেশনে থাকছে এ ব্যবস্থা।
প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, নানা কারণে প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ছে। এর অন্যতম কারণ, চারটি স্টেশন প্লাজা করা হবে। এসব স্টেশন প্লাজায় শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া যাত্রীদের জন্য স্টেশনগুলোতে থাকছে বিপণিবিতান, সময় কাটানোর জন্য হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কফিশপ ও বিনোদনকেন্দ্র। অসুস্থ এবং প্রতিবন্ধীদের ওঠা-নামার জন্য থাকছে লিফট, সঙ্গ এসকেলেটরও। মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য থাকছে স্থাায়ী ও অস্থাায়ী দুই ধরনের র্যাপিড পাস। অপরদিকে মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য স্থাায়ীভাবে পাস ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। মেট্রোরেলের উত্তরা, আগারগাঁও, ফার্মগেট ও কমলাপুর স্টেশনে থাকছে এ ব্যবস্থা।