মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তাদেরকে মানসম্মত বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী বছরের মধ্যে দেশের ১৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সবাইকে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। সেই লক্ষ্যে এরইমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে দুই হাজার তিন’শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার যশোরের মণিরামপুরে তিনতলা বিশিষ্ট নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় কোথায় কাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন, পাকসেনা ও তাদের দোসর জামায়াতে ইসলামী কিভাবে মানুষ হত্যা করেছে, মুক্তিকামী মানুষের ওপর নির্যাতন করে বাড়ি-ঘর পুড়িয়েছে তার বিস্তারিত পাঠ্যপুস্তকে স্থান পাবে। আগামী বছর থেকে বিসিএস পরীক্ষায় শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধ ও তার পটভূমির উপর ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক দেশের সড়কগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধারা যেন সরকারি হাসপাতালে ওষুধসহ সব ধরণের সেবা পান সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেত না। মুক্তিযুদ্ধের সময় ও তার আগে বার বার কারাবরণ করে তিনি এদেশের পক্ষে বিশ্ববাসীর জনমত তৈরি করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে দাঁড়
করিয়েছেন শেখ হাসিনা। অথচ বিএনপি দেশে তেমন কোনো উন্নয়ন করেনি। হাওয়া ভবন
তৈরি করে লুটপাট করেছে। শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ
করেছেন। যার ফলে আজ তার এমন করুণ পরিণতি।
মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদ, মণিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এম এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।