বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করা ১১ হাজার বিদেশী নাগরিককে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করা এই ১১ হাজার বিদেশীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত এসব বিদেশীর বেশির ভাগই নাইজেরিয়া, তানজানিয়ার মতো আফ্রিকান দেশের নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সভা শেষে কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এদেশে এসে পরবর্তীতে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অনেকে যায় না, থেকে যায়। তারা যেন থাকতে না পারে, সেজন্য কারা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় আছে তাদের চিহ্নিত করা আমাদের যৌথ সভার সিদ্ধান্ত ছিল। সফলতার সাথে গোয়েন্দা সংস্থা তাদের চিহ্নিত করেছে। চিহ্নিত করা গেলেও তাদের দেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন সমস্যা হচ্ছে ফেরত যাওয়ার টাকাও নেই ওদের কাছে। সেসব দেশের দূতাবাসও নেই আমাদের দেশে যে তাদের কাছে হস্তান্তর করব। এই অবৈধ অভিবাসীদের কারাগারে রাখলে সেখানেও তারা অপরাধের ঝামেলায় জড়াবে মন্তব্য করে মোজাম্মেল হক বলেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারের কাছে অনুরোধ করব কিছু টাকা বরাদ্দ দেয়ার জন্য, যাতে অবৈধভাবে বসবাসকারী লোকগুলোকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসে ব্যবসায় করছে। অনেকে অপরাধের সাথে জড়াচ্ছে। এদের অনেকে জেলে রয়েছে, যাদের সাজার মেয়াদও শেষ হয়েছে। এছাড়া ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অবৈধভাবে এ দেশে অবস্থান করছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার বিদেশী নাগরিক রয়েছে, যাদের আমরা নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেবো।