নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ,,,,,,,,,ঐহিত্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল ওয়াহেদ। ফলে ১১তম বারের মতো তিনি এই ব্যবসায়ী সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুলহা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. খাইরুল ইসলাম। আর সহ-সভাপতি হয়েছেন ক্যাপিটাল মেশিনারিজের আমদানিকারক আয়ান ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আখতারুল ইসলাম রিমন।
মঙ্গলবার দুপুরে ২০২৪-২৬ মেয়াদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে নতুন পরিচালকদের অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করা হয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতির নাম ঘোষণা করেন চেম্বার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোলাইমান বিশু। এর আগে শনিবার সাধারণ গ্রুপে ১৩ ও সহযোগী গ্রুপে ৫ জন ভোটের মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচিত হন। এর আগে ট্রেড গ্রুপের ৪ জন পরিচালকই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের প্রভাবমুক্ত থাকায় এ নির্বাচন বেশ জমজমাট হয়ে উঠে। তবে এবারই প্রথম চেম্বার নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা সরাসরি প্রচারণায় নামেন। এ নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে আলোচনা হয়, বিএনপি ও জামায়াত নেতারা ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটিকে রাজনৈতিক দলের ব্যবসায়ী শাখায় পরিণত করার চেষ্টা করছেন এমন অভিযোগ করেন তারা। হারুন-আনোয়ার-তরিকুলের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ এবং জামায়াত নেতা ও সাবেক এমপি লতিফুর রহমান। মোবাইল ফোনে প্রচার চালান বিএনপির সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশিফা আশরাফি পাপিয়া।
অন্যদিকে আব্দুল ওয়াহেদের নেতৃত্বধীন প্যানেল ব্যবসায়ী স্বার্থ উন্নয়ন ফোরামের প্রচারণায় ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম।
তবে সাবেক তিন সংসদ সদস্যের প্যানেলকে পরাজিত করে ১৮ পরিচালক পদের ১৭টিতে জয় পাই আব্দুল ওয়াহেদের নেতৃত্বাধীন প্যানেল। রাজনৈতিক প্রভাবকে উপক্ষো করে ব্যবসায়ীরা তাদের পুরোনো বন্ধু আব্দুল ওয়াহেদকে বেছে নেই। ফলে একাদশবারের মতো সভাপতি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি।
সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীদের আমার ওপর অতীতেও আস্থা ছিল এবং বর্তমানেও রয়েছে। সে কারণে তারা সমর্থন দিয়েছেন এবং আমি বার বার নির্বাচিত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে বিএনপি আমার নাম ঘোষনা করেছিল। আমি আগামী সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন প্রত্যাশী। এজন্য বিএনপি এবং জামায়াতের সাবেক তিন সংসদ সদস্য আমাকে আটকানোর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বি প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারনায় নামে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সঠিক সিদ্ধান্তের কাছে তারা হার মেনেছে। আমাদের প্যানেলের যে নিরঙ্কুশ বিজয় এটি ব্যবসায়ীদের ভালোবাসার প্রতিফলন। নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যে প্রতিশ্রুত দিয়েছি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুতই বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাবো।