নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে তৃতীয় দিনের মত চলছে ১১ দফা দাবীতে রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট। ধর্মঘট চলাকালে যাত্রীদের গন্তব্যে যাওয়ার একমাত্র ভরসা সিএনজি সহ থ্রি হুইলার। যে সিএনজি ও থ্রি হুইলার মহা সড়কে চলা নিয়ে ধর্মঘট সেই সিএনজি ও থ্রি হুইলারই এখন মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সেই সাথে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে দ্বিগুন তিনগুন ভাড়া।
এক যাত্রী জানালেন, বাস না থাকায় তাদের খুব দূর্ভেগ পোহাতে হচ্ছে। যে সিএনজি ও থ্রি হুইলার চলাচল বনাধ করতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে সেগুলোই চলছে এখন। কিন্তু তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক বেশী টাকা খরচ করতে হচ্ছে। যেখনে ৫০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া যাবে সে ভাড়া গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা।
এক কাঁচা মাল ব্যবসায়ী জানান, বাস বন্ধ থাকায় তাকে সিএনজি বা অটো রিক্সায় আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। এতে তার বেশী টাকা খরচ হচ্ছে। তাতে তার কোন লাভ থাকছে না। কিন্তু গ্রামের হাট-বাজারে তার অত কাঁচামাল বিক্রি হয়না। তাই তাকে শহরে আসতেই হচ্ছে। তিনি দাশুড়িয়া থেকে নাটোরে অধিক অর্থ খরচ করে সিএনজি ও অটো রিক্সায় নাটোরে এসেছেন। তিনি এনজিওতে চাকুরী করেন। তাকে রাজশঅহী সকাল ৮ টার মধ্যে রাজশাহী পৌঁছাতে হবে। বাস না পাওয়ায় ভেঙ্গে ভেঙ্গেই রাজশাহী যেতে হবে। এ অবস্থায় তাদের দূর্ভোগের শেষ নেই।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধান করা সহ হাইকোর্টের নির্দেশানুযায়ী মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে থ্রি হুইলার ,সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চলাচল বন্ধ ও জ্বালানি তেল সহ যন্ত্রাংশের মুল্য হ্রাস করা সহ ১১ দফা বান্তবায়নে পরিবহণ ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক পরিষদ।