দেশে সারের চাহিদা পূরণে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় বিভিন্ন দেশ থেকে চার ক্যাটাগরির মোট দুই লাখ ২০ হাজার টন সার আমদানির ছয়টিসহ মোট ৯টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’। এতে ব্যয় হবে প্রায় এক হাজার ১৭৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৮৩ টাকা কেজি দরে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি আমদানির প্রস্তাবও রয়েছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা’এডেন থেকে তৃতীয় লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি টন ৫৩২ ডলার হিসেবে এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২২৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তিনি জানান, বৈঠকে বিএডিসি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ‘ওসিপি এসএ’ থেকে ২য় লটে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি টন টিএসপি সার ৩৯১.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে এতে ব্যয় হবে এক কোটি ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১২৬ কোটি ৫৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে বিএডিসি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ‘ওসিপি এসএ’ থেকে তৃতীয় লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি টন ডিএপি সার ৫৪১.৫০ মার্কিন ডলার হিসাবে এতে ব্যয় হবে দুই কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২৩৩ কোটি ৪২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।।
তিনি জানান, বৈঠকে বিএডিসি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডার কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে চতুর্থ লটে ৫০ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি টন এমওপি সার ৪১৮ ডলার হিসাবে এতে ব্যয় হবে দুই কোটি ৯ লাখ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২২৫ কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিসিআইসি কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের জন্য ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিড আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটির মূল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- সংযুক্ত আরব আমিরাতে মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই (স্থানীয় এজেন্ট : মেসার্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট, ঢাকা)। এতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৯৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিনি আমদানি : তিনি জানান, বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটির মূল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাকসেনচ্যুয়েট টেকনোলজি ইনকরপোরেশন (স্থানীয় এজেন্ট : ওএমসি লিমিটেড, ঢাকা)। প্রতি টন ৪৯৫.৫০ ডলার হিসেবে এতে ব্যয় হবে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা।