নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুরঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে আমির আলী সুপার মার্কেটের মালিক আমীর আলীকে ১০ বছর ধরে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই টয়লেটের পাশে নোংরা ঘরে শিকলবন্দী রেখেছিল তার স্ত্রী ও তিন সন্তান। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। অনেক সম্পদ থাকা সত্বেও শুধু মানসিক ভারসাম্যহীন বলে আমিরকে তার বাড়িতেই শিকলবন্দী রাখার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভাগনে আব্দুর রহিম।
আমিরের স্ত্রী মনোয়ারা ও ছেলে মঞ্জু জানান, তাকে ১৪ বছর আগে পাবনার মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু তার চিকিৎসার উন্নতি হয়নি। তাই তাকে শিকলবন্দী রাখা হয়। তারপর আর চিকিৎসা করানো হয়নি।
অস্বাস্থ্যকর কুঁড়ে ঘরে শিকলবন্দী রাখা হয় আমিরকে। সেই ঘরে বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে। শুধু তাই নয়, তার ঘুমানোর জায়গার পাশে টয়লেট স্থাপন করা। টয়লেটের কাজ সারতেন যে পাত্রে, সেই পাত্রেই পানি পান করতেন তিনি। ভাঙা কুঁড়ে ঘরে টয়লেট, গোসল, খাবারসহ পোকামাকড়ের কামড় খেয়ে ১০ বছর কাটিয়েছেন তিনি।
অবশেষে বুধবার গভীর রাতে ইউএনও মো. তমাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে আমির (৬০) কে শিকলমুক্ত করেন এবং তার বাড়িতেই একটি ভালো ঘরে থাকার সুব্যবস্থা করেন।
ইউএনও তমাল হোসেন জানান, আমিরকে নোংরা ঘরে বন্দী রাখার জন্য ভুল শিকার করেছেন স্ত্রী সন্তানেরা। পরবর্তীতে আমির আলীর ওপর অমানবিক আচরণ করলে পরিবারের দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও দেখুন
নাটোরের সকল এমপিদের গ্রেপ্তারের দাবি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের
নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,, সাম্য ও মানবিক দেশ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনামূলক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক …