শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / ই-লার্নিং / ১০০ দিনে ইন্টারনেট ও ই-কমার্সের ব্যবহার বেড়েছে ৫০ শতাংশ : পলক

১০০ দিনে ইন্টারনেট ও ই-কমার্সের ব্যবহার বেড়েছে ৫০ শতাংশ : পলক

নিউজ ডেস্ক:
কোভিড কালীন ১০০ দিনে দেশে ইন্টারনেট ও ই-কমার্সের ব্যবহার ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আর সার্বিক বিবেচনায় ইন্টারনেটের দাম কমানোর দাবির সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করেছেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ জুন) অনলাইনে ইয়্যুথ পার্লামেন্ট বাজেট অধিবেশনে যোগ দিয়ে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

পলক বলেন, করোনা ভাইরাসকালীন সময়ে আমি দেখেছি, এই যে ১০০ দিনের অধিক সময় আমরা ঘরে বন্দি আছি। কিন্তু সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থী কিন্তু ঘরে বসেই শিক্ষা চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে জরুরী খাদ্য সরবরাহ এমনকি ঘরে বসে বিনোদন পর্যন্ত কিন্তু করতে হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সেই ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ই-কমার্সের লেনদেন ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহার আরো উৎসাহিত করতে আমিও একমত। ইন্টারনেটের ওপর বিদ্যমান ১০ শতাংশ শুল্ক যদি কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয় তাহলে ভালো। যদি সেটা সম্ভব না হয়, অন্তত বাড়ানো না হয় সেজন্য দাপ্তরিক ভাবে আমি মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন-নিবেদন করেছি। অনুরোধ করেছি। আজকেও তরুণ সংসদ সদস্যদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।

বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গত ১০৩ দিনে জীবন ও জীবিকা বাঁচিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয় বাজেটে এসেছে সেটা যথাযথ। এক্ষেত্রে শিক্ষা ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরের হাজার হাজার গ্রামের তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান, শিক্ষা ও প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সমবায় ভিত্তিক কৃষি উন্নয়নেও তিনি মনোযোগী ছিলেন। এক দিকে তিনি আইটিইউ এর সদস্যপদ লাভের আবেদন করেছেন অন্যদিকে ৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। বর্তমান সরকারের প্রজ্ঞা ও দুরদর্শিতায়, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে, ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। সারাদেশের গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। নেটওয়ার্কের কিছুটা সমস্যা হলেও আজ থেকে ১১ বছর আগে ঢাকার বাইরে কোনো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছিলো না।

জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন, তারুণ্যের মেধা এবং প্রযুক্তি শক্তি দিয়ে আমরা যদি উদ্ভাবনীমূলক পরিকল্পনা ও উদ্ধাবন দিয়ে এগিয়ে যাই তাহলে মহামারির সঙ্কট কাটিয়ে আমরা সম্ভাবনায় পরিণত হতে পারবো।

ধ্রুবতারা ইয়্যুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং অ্যাকশন এইডের আয়োজনে এই অধিবেশন আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।

সূত্র: ডিজি বাংলা

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …