নিউজ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে রবিবার (১০ই মে) থেকে জেলা-উপজেলায় সীমিত আকারে চালু করা যাবে ব্যবসা বাণিজ্য। তবে ব্যবসা কেন্দ্র, হাট বাজার, দোকানপাট ও শোপিংমলের কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যেই সীমিত করতে হবে ।
রমজান ও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে আন্তঃজেলা গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
সোমবার (০৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, কেনাবেচার সময় সামাজিক (পারস্পরিক) দূরত্ব বজায় রাখাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। বড় বড় শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে বিকাল ৫টার মধ্যে দোকান ও শপিংমল বন্ধ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ঈদের ছুটিতে আন্তঃজেলা গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে, ঈদের ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ছুটিতে জনসাধারণ ও সকল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। জরুরি পরিসেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির বাইরে থাকবেন।
সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে। কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে না।
চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) কর্মীরা এ ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবেন।
করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী ৭ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে ৬ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি, ৮ ও ৯ মে এবং ১৫ ও ১৬ মে (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো সরকারের ঘোষিত এই ছুটি ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সূত্রঃ ডিবিসি