নিউজ ডেস্ক:
আগামী বছর দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠকের জন্য এই প্রথম ভারত সরকার বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সব জি-২০ রাষ্ট্রের এবং আমন্ত্রিত দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে প্রথম বৈঠক বসবে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের নিসর্গ দ্বীপ হ্যাভলকে। গত বুধবার বালিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে পরবর্তী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব তুলে দেয়। ২০২৩ সালের ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে প্রগতি ময়দানে নবনির্মিত মিলনকেন্দ্রে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের সঙ্গে এক টেবিলে বসবেন। ভারতের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়ক হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে বছরব্যাপী বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ২০০ বিভাগীয় সম্মেলন হবে। হ্যাভলক দ্বীপে রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনের পরে চ-ীগড়ে ১ ডিসেম্বর শেরপাদের বৈঠক হবে। এরপর সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে গুজরাটের কচ্ছ রানে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠক চলবে। এবারের জি-২০ সম্মেলনে ভারত ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে প্রচার করতে চায়। তাই হ্যাভলক দ্বীপে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রথম স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দ্বীপটির নামকরণ করেন স্বরাজ দ্বীপ।
বিশ্বের আর্থিক বিকাশশীল দেশসমূহের ২০টি রাষ্ট্র নিয়ে জি-২০। এতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ সদস্য, জি-৭ এবং ব্রিকস সদস্য দেশগুলো রয়েছে। আলোচ্য চূড়ান্ত বিষয়গুলো নিয়ে সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, পর্যটন, ডিজিটাল অর্থনীতি, দুর্যোগ মোকাবিলা, অন্তর্মুখী বৈষম্যহীন টেকসই বিকাশ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং বহুদেশীয় মঞ্চগুলোর সংস্কার। শ্রিংলা বলেন, জি-২০ রাষ্ট্রের এ পর্যন্ত যত বৈঠক হয়েছে তার মধ্যে এই প্রথম বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর প্রধান কারণ বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিকাশশীল রাষ্ট্র এবং ভারতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে তার।