রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মবার্ষিকী আজ

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মবার্ষিকী আজ

নিউজ ডেস্ক:
গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মবার্ষিকী আজ। ১৮৯২ সালের আজকের দিনে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাই সুধী সমাজ তাকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র উপাধি দেয়। তিনি ছিলেন তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দির কনিষ্ঠ সন্তান। মা ছিলেন নামকরা উর্দু সাহিত্যিক খুজাস্তা আখতার বানু। তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ তৎকালীন ভারতবর্ষের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের প্রথা অনুসারে উর্দু ভাষা ব্যবহার করতেন। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী নিজ উদ্যোগে বাংলা ভাষা শেখেন এবং বাংলার চর্চা করেন। ছোট বেলা থেকেই বাংলার সাথে তার ভালবাসার শুরু।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বঙ্গবন্ধুকে ভীষণ স্নেহ করতেন, এমনি একাটা সময় জাতির পিতার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু ছিলেন তিনি। সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক জীবন শুরু চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টিতে। এটি হল অখন্ড ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরে একটি গ্রুপ। ১৯২৪ সালে তিনি কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়র ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাস।

সর্বভারতীয় খিলাফত সম্মেলন এবং সর্বভারতীয় মুসলিম সম্মেলন অনুষ্ঠানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। মসুলমানদের মধ্যে তার ব্যাপক রাজনৈতিক প্রভাব ছিল। নিজের গড়া ‘ইন্ডিপেন্ড্যান্ট মুসলিম পার্টি’ নিয়ে যুক্ত হয়েছিলেন বাংলা প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাথে। বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় তিনি শ্রমমন্ত্রী, পৌর সরবরাহ মন্ত্রী ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী মোহাম্মদ আলির পদত্যাগের পর তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। সোহরাওয়ার্দী সংখ্যা-সাম্যের ভিত্তিতে একটি শাসনতন্ত্র গঠন করেছিলেন। তার শাসন আমলেই উর্দুর সঙ্গে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকার করে নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্ব ওপশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যেকার অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে তিনি পদক্ষেপ নেন। বাংলার সাথে তার নিরব সখ্যতা ছিল, ছিল গভীর ভালবাসা।

গণতন্ত্রের মানসপুত্র, উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১৯৬৩ সালের লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেলে নিঃসঙ্গ অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সূত্র: ডিবিসি নিউজ

আরও দেখুন

টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ 

নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে বগুড়ার নন্দীগ্রামে …