নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
সরকারের বেঁধে দেওয়া চুক্তি অনুযায়ী রোববার (৩১ অক্টোবর) থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থালবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। কারণ দেশের চালের বাজারদর ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার চলতি বছরে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়। এতে গত ২৫ আগস্ট ৪০০ জন আমদানিকারককে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ছিল সিদ্ধ চাল ও এক লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল।
গত শনিবার (৩০ অক্টোবর) ছিল চাল আমদানি শেষ দিন। ৩১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা আর চাল আমদানি করতে পারবেন না।
মোটা চাল প্রতি মেট্রিক টন ৩৭০ থেকে ৩৮০ ডলার এবং চিকন চাল প্রতি মেট্রিক টন ৪২৫ থেকে ৪৭০ ডলার মূল্যে আমদানি হয়েছে। তবে শর্ত ছিল ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ সমস্ত চাল ভারত থেকে আমদানি শেষ করতে হবে।
হিলি স্থালবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রæপের সভাপতি হারুন-ইর রশিদ জানান, দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে বাংলদেশ সরকার চাল আমদানি করতে অনুমতি দিয়েছিলো। তবে ভরা মৌসুমে চাল আমদানির কারণে চাষিরা ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়। এতে সরকার চাষিদের বাঁচাতে চাহিদা মতো চাল আমদানিতে আমদানিকারকদের তালিকা ও চাল আমদানির পরিমাণ ও সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। গত শনিবার (৩০ অক্টোবর) থেকে সেই সময় শেষ হয়েছে। যার জন্য হিলি স্থালবন্দর দিয়ে চাল আমদানি আপাততো বন্ধ আছে। ইতি মধ্যে এলসি করা সব চাল হিলি বন্দরে প্রবেশ করেছে। সরকার অনুমতি দিলে আবার এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হবে।
হিলি কাস্টমসের উপ-কমিশনার কামরুল হাসান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করতে পেরেছেন। পরবর্তী নির্দেশ না এলে হিলি স্থালবন্দর দিয়ে কোন চালের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করবে না।