নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় নন-বাসমতি চাল আমদানি অব্যহত রয়েছে। এদিকে ২২ মাস পর ০৯ জানুয়ারী থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। স্বল্প সময়ের মধ্যে চালের বাজার মুল্য স্বাভাবিক রাখতে চাল আমদানির উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে সরকার। এখন শতকরা ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে সরকারের স্বর্তাবলি মেনেই ৩৭০ থেকে ৪২৫ ডলারের মধ্যে প্রতি মেট্রিকটন চাল আমদানি করছে আমদানি কারকেরা। সীমান্তের ওপারের পাইপ লাইন থেকে দ্রুত চাল আমদানি হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, চালের বাজার মুল্য স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে ১০ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন নন-বাসমতি চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে যানজটের কারনে ভারত থেকে প্রতি ট্রাক চাল আমদানিতে সময় লাগছে ১০ থেকে ২০ দিন। প্রতিটি ট্রাকে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা ডিটেনশন চার্জ গুনতে হচ্ছে আমদানি কারকদের। এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ ট্রাকে চাল আমদানি হচ্ছে এবং তড়িৎ চাল খালাস করে বাজার জাত করা হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রচুর চাল আমদানি হওয়ায় হিলি বন্দরের পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩/৪ টাকা কমে গেছে। আর এতে করে আমদানি কারকেরা লোকসানও গুনছেন। তিনি আরও জানান, আমরা চালের প্রচুর এলসি দিয়েছি। প্রযাপ্ত পরিমান চালের আমদানি হচ্ছে।
চাল আমদানি কারক বাবলুর রহমান জানান, চালের আমদানি বেড়ে গেলে দাম আরও কমে আসবে। তবে লোকসান গুনবেন আমদানিকারকেরা। কারন বেশী দামে চাল কিনে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বন্দরের চাল আমদানি কারক শাহিনুর রেজা শাহিন জানান, প্রচুর চাল আমদানি হওয়ায় ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। পাইকারি ক্রেতারা বেশী দামে চাল কিনেছেন, বাজার নি¤œ গতি এখন তারা চাল কিনছেন না। এদিকে হিলি বন্দরের আড়ৎ গুলোতে প্রচুর চালের মজুদ গড়ে উঠেছে। এ ছাড়াও দেড় হাজার ট্রাক চালের বোঝাই নিয়ে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপার সীমান্তের পাইপ লাইনে রয়েছে।
সাত দিনের ব্যবধানে এখন স্বর্না চাল প্রতি কেজি ৪৪ টাকা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা, ২৮ চাল ৪৭ থেকে ৪২ টাকায়, সম্পাকাটারি ৫৬ টাকা থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকার ক্রেতারা পাইকারিতে ২ থেকে ৩ টাকা কম দামে চাল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
হিলি কাষ্টমস সুত্রে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত ২ মাসে ৬১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আর এর বিপরিতে রাজস্ব এসেছে ৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ও দিকে শতকরা ২৮ থেকে ৬০ শতাংশ শুল্ক হার বৃদ্ধি করায় গত ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে নন-বাসমতি চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
হিলি শুল্ক ষ্টেশনের উপ-কামশনার সাইদুল আলম জানান, চাল দ্রæত আমদানির পাশাপাশি আমরাও তড়িৎ খালাসে ও বাজার জাত করনে আমরা তৎপর আছি।