নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি (দিনাজপুর):
ভারত থেকে দুর্গা পুজার আগেই পেঁয়াজ আমদানি হবে এমন সংবাদে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গত সপ্তাহ সময় ধরে প্রকারভেদে কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় এবং দেশী পেঁয়াজ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকায়। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যদি পেঁয়াজ প্রবেশ করে তবে দাম কমে আসবে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। তাতে সাধারণ জনগনের মাঝে অনেকটাই সস্থিরতা ফিরে আসবে।
ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। এমতাবস্থায় বাজারে পেঁয়াজ ক্রেতা অনেকটাই কমে গেছে। এদিকে খুচরা বাজারে পেয়াজের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। যদিও দুই চার জন আসছেন তারা তারা হাফ কেজি, এক পোয়া কিনছেন। অনেকে দাম শুনে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। যার জন্য পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে ভারত পেয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে, তারাই আবারও পেঁয়াজ রফতানি করবে। আবার ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারান জানান, ভারত থেকে এলসি করা পেঁয়াজ আসার কথা শুনা যাচ্ছে। সে দেশের রফতানি কারক ব্যবসায়ীরা এলসি কৃত পেঁয়াজ আমাদের দেশে সরবরাহ করবে। এব্যপারে আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছে সে দেশের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রæপের সহ-সভাপতি শাহিনুর রেজা শাহিন জানান, ভারতীয় রফতানি কারকেরা গত ১৪ সেপ্টেম্বর এর আগের এলসি করা পেয়াজ রফতানির অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে রিট করেছে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে রফতানি কারকেরা আশা করছেন তারা দুর্গা পুজার আগেই বাংলাদেশে পেয়াঁজ রফতানি করতে পারবেন বলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদেরকে তারা আশ্বস্থ করেছেন।