নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনকে চিঠি দিয়েছে ভারতের ব্যবসায়ীরা। আগামী ৯ জুন থেকে রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের কার্ড নিয়ে ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপারদের বন্দরে প্রবেশ ও সীমিত পরিসরে আমদানি কার্যক্রম চালানোর জন্য বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের একটি চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়। চিঠির জবাবে শর্ত মানতে নারাজ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা উল্টো রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের। রোববার (৬ জুন) রাতে রপ্তানি বন্ধ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশের হিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে পাঠান তারা।
ভারতীয় চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের আমদানি- রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলিতে দিন দিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আমদানি কার্যক্রম করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের নিকট চিঠি পাঠিয়েছিলাম। সেই চিঠিতে ভারতীয় ট্রাক চালকদের করোনা টিকা গ্রহণের কার্ড এবং প্রতিদিন সীমিত পরিসরে পণ্য আমদানির বিষয়ে জানানো হয়। সেই চিঠি পাওয়ার পর তারা আমাদের শর্ত মানতে অনীহা প্রকাশ করে উল্টো চারটি শর্ত দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের শর্তগুলো আমরা না মানলে তারা আগামী ৯ জুন থেকে আমাদের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে আমাদের স্থানে আমরা অটুট আছি, তারা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দেবে।
ভারতীয় ব্যবসায়ীরা তাদের চিঠিতে বলেছে, সব ট্রাক চালক ও হেলপারের টিকা গ্রহণ তাদের পক্ষে সম্ভব না। কারণ তাদের দেশ জুড়ে টিকার সংকট। পূর্বের মতো সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আমদানি/রপ্তানি কার্যক্রম চালাতে হবে। আপনাদের একক সিদ্ধান্তের কারণে আমরা অপমানিত হচ্ছি। অনান্য বন্দরের মতো হিলি বন্দরেও গাড়ি স্বাভাবিকভাবে নিতে হবে।”
এদিকে হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, হিলি একটি ঘনবসতি এলাকা। আমরা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে বারবার তাদের তাগাদা দিচ্ছি কিন্তু তারা মানতে নারাজ। আমরা আতংকিত অবস্থায় আছি। সরকারের কাছে অনুরোধ করবো স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের বিষয়ে যেন আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।