সপ্তাহ খানেক আগেও ঝিমিয়ে পড়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি কার্যক্রম। কমে যায় শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা। তবে জটিলতা কাটিয়ে বন্দর ফিরেছে নতুন রূপে। বেড়েছে ভারত থেকে পণ্য আমদানি। নতুন বছরের শুরুতে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।
ডলার সংকট ও ব্যাংকগুলো থেকে পর্যাপ্ত এলসি না পাওয়াসহ নানা জটিলতায় গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে থমকে গিয়েছিল পণ্য আমদানি। নতুন বছরের শুরুতে সেই জটিলতা কাটিয়ে উঠেছে বন্দর। প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে পণ্য আমদানি।
হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, সপ্তাহ খানেক আগে এ বন্দর দিয়ে মাত্র ৫০ থেকে ৬০টি ভারতীয় ট্রাকে পণ্য আমদানি হয়েছে। নতুন বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি ট্রাকে পণ্য এসেছে। গেল ৭ কর্ম দিবসে এই বন্দর দিয়ে ৬৫৪টি ট্রাকে ভারত থেকে পণ্য এসেছে ২১ হাজার ৬৯৪ মেট্রিক টন।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, মাঝে কিছু সময় আমদানি থমকে যায়। তবে তা আবার স্বাভাবিক হয়েছে। নতুন বছরে ব্যবসা বাণিজ্য ভালো হওয়ায় আমরা খুশি। ব্যাংকগুলো থেকে চাহিদামতো এলসি পাওয়া যাচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ হারুন বলেন, ডলার সংকটসহ নানা কারণে বেশ কিছুদিন থেকে এই বন্দরে আমদানি কিছুটা থমকে গিয়েছিল। ব্যাংকগুলো থেকে এলসি নিরুৎসাহিত ছিল। এতে আমদানিকারকরাও সমস্যায় পড়ে। আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্যাংকগুলো এলসি শিথিল করেছে। এতে করে পণ্য আমদানি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ভোজ্যপণ্য এই বন্দর দিয়ে দেশে আসছে।
আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের যেমন রাজস্ব বেড়েছে, তেমনি বন্দরের দৈনন্দিন আয়ও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন হিলি পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রতাব মল্লিক। তিনি বলেন, হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি অব্যাহত আছে। কিছুদিন আগে আমদানির পরিমাণ নিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। তবে গত সপ্তাহ থেকে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় সব ধরনের মালামাল এ বন্দর দিয়ে আসছে।