নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) পাওয়ার পরও ২ দিন থেকে হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে দু’ এক দিনেই পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) এর মেয়াদ গত মঙ্গলবার ছিলো শেষ দিন। এ কারণে আমদানিকারকরা আগের আইপিতে সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করান। ফলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতীয় ৬৩ ট্রাকে ১ হাজার ৬৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে। বন্দরে পযাপ্ত পরিমানের পেঁয়াজ মজুত থাকায় ২ দিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বন্দরে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ আড়ৎগুলোতে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকা দরে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম কম থাকায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
হিলি বন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি ( আইপি) পত্রের শেষ দিন ছিলো গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার। যার ফলে ব্যবসায়ীদের আগের অনুমতির সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করায়। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ এর (এলসি) করা হয়। বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা রমজান মাস উপলক্ষে আরও বেশি বেশি এলসি করেছে।
তিনি আরও বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাজারে দাম কমেছে এবং আড়ৎগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। অনেক আমদানি কারকের পেয়াজে গাছ গজাচ্ছে। আসছে পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজ এর দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই।
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লি: এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান, গত মঙ্গলবারের পর থেকে হিলি বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করেনি। নতুন এলসির পেঁয়াজ আমদানি হলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।