নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
হিলি স্থল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও ট্রেনযোগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে দিনাজপুরের হিলি রেলষ্টেশনে। আর পেঁয়াজ আমদানি কারকেরা সামাজিক দুরত্ব না মেনে ও মাস্ক ছাড়াই শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে করছে পেঁয়াজ আনলোড-লোডের কাজ। এদিকে হিলি স্থলবন্দরের ব্যাস্ততম সড়ক গুলোতে দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রাকগুলোতে বাড়াচ্ছে যানজট। তবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরে আসেনি এসব।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, ভারতীয় মালবাহী ট্রেন থেকে শ্রমিকরা পেঁয়াজ আনলোড করে দেশী ট্রাক গুলোতে লোড করছে। কিন্তু মানছে না তারা সামাজিক দুরত্ব এবং মুখে নেই কোন সুরক্ষিত মাস্ক। এদিকে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপারের মুখে নেই কোন মাস্ক। সড়ক গুলোতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলোতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। পেঁয়াজ লোড করে গাড়িগুলো ছেড়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। হিলি রেলষ্টেশনের আশপাশের রাস্তাগুলোর বেহালদশা। রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো ট্রাকের চাপা খেয়ে ভেঙে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারেরা আসছে পেঁয়াজ কিনতে। বাহির থেকে আসা ট্রাক চালক, হেলপার ও ব্যবসায়ীরা করোনা উপসর্গ নিয়ে অনেকেই হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করছেন না এমন কি প্রমাণ রয়েছে। তারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পেঁয়াজ কিনতে আসছেন।
এলাকাবাসী আমজাদ হোসেন জানান, আমরা হিলি বাসী করোনা থেকে নিরাপদে থাকতে চাই। আমদানি কারক ব্যবসায়ীরা ট্রেনযোগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। কিন্তু শ্রমিকরা কোন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পেঁয়াজ আনলোড-লোড করছে। আমাদের বাড়ির পাশে দুর্বল দিয়ে এই ভারি ওজনের ট্রাকগুলো যাতায়াত করায় সড়কসহ ড্রেনগুলো ভেঙে পড়ছে। যানজটের কারনে চলাফেরা করতে খুবি অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে । আমি লোক পাঠিয়েছি, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এর সাথে কথা বলেছি এব্যপারে তারা ব্যবস্থা নেবেন। এরপরও যদি তারা স্বাস্থ্যবিধি না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেয়া হবে।