নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলিঃ
বাংলাদেশ-ভারত সীমানা নির্ধারনে ব্যবহৃত সীমানা পিলারগুলো পুননির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেড় ঘন্টার বৈঠক করেছেন দু’দেশের ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে হিলি সীমান্ত চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টের ২৮৫/১১নং পিলার গেট সংলগ্ন বিজিবির পোস্টের পাশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে, এসময় সেখানে বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের কলকাতার ভূমি জরিপ কমিশনের ইনচার্জ অফিসার বিদিশ নাইয়া’র নেতৃত্বে ভারতের ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে যোগ দেন। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সার্ভেয়ার তপন কুমার, সহকারী সার্ভেয়ার সুকদেব দাস। অপর দিকে বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের ঢাকাস্থ চার্জ অফিসার পারভেজ মিয়ার নেতৃত্বে সার্ভেয়ার আশরাফুল ইসলাম, চেইনম্যান হাফিজুর রহমান, স্থানীয় হিলি অফিসের সার্ভেয়ার সাইদুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সেখানে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর নাঈম খন্দকার, বিএসএফের ১৩৭ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক এমএস ঝা, ডেপুটি কমিশনার সুনিল কুমার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ঢাকার চার্জ অফিসার পারভেজ মিয়া বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সীমানা চিহ্নিতকরণে সীমানা পিলার রয়েছে, এর মধ্যে যেসব সীমানা পিলার নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলো নির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে তারই অংশ হিসেবে আজ দ’ুদেশের ভুমি জরিপ অধিদপ্তরের মাঝে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে সেই কাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আগামী ১৮ ফ্রেরুয়ারি থেকে জয়পুরহাটের পাগলা দেওয়ান বিওপির অধীনে মেইন পিলার ২৭৩ থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে।
তিনি আরো জানান, দুদেশের পক্ষে নিজ নিজ সীমানা পিলারগুলো সংস্কার, মেরামত ও নির্মাণ কাজ করা হবে। পর্যায়ক্রমে আরো যেসব সীমানা পিলার রয়েছে সেগুলোর কাজ করা হবে।